ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: আমফান তাণ্ডব (Amphan) চালানোর পর ২৫ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বহু জায়গাতেই বিদ্যুতের ভাঙা খুঁটি আর ছেঁড়া তার পড়ে রয়েছে। সেই তারেই সোমবার সকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এক বৃদ্ধ। আর্তনাদ শুনে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়েই তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রীর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গায়(Deganga)।
উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা থানা এলাকার মানিকপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ষাটের নীলা রায়। এলাকাবাসীর থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো সোমবার ভোরেও ফুল তুলতে বেরিয়েছিলেন নীলাদেবীর স্বামী দুলালবাবু। রাস্তার ফুল গাছের পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে কোনওভাবে হাত লেগে যায় তাঁর। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। শুনে ছুটে আসেন নীলাদেবী। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। প্রতিবেশি এক যুবক বাঁশ দিয়ে মেরে তাঁদের ছাড়ান। তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। দুলালবাবুকে বাঁচানো গেলেও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীর। এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের গাফিলতির জন্যই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার।
[আরও পড়ুন: ‘৯ মাস পর বিধানসভা ভোট’, অনুব্রতর গড়ে প্রচারের দায়িত্ব পেয়েই দামামা বাজিয়ে দিলেন মুকুল]
অমিত রায় নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “আমফানের প্রায় কুড়ি দিন পর এই এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে। আমাদের পাড়ার এই পোলের তার ঝড়ে ছিঁড়ে গিয়েছিল। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা সেগুলো জোড়ার জন্য টাকা চেয়েছিল। আমরা টাকা না দেওয়ায় কোনওমতে তারগুলি জুড়ে চলে যায়। আমরা তখনই বলেছিল এর থেকে বিপদ ঘটবে। শোনেনি।”
[আরও পড়ুন: জঙ্গলে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ, বাঘের আতঙ্কে কাঁটা শালবনী]
The post রাস্তায় পড়ে থাকা তারে তড়িদাহত হয়েছিলেন স্বামী, বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু স্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.