ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: মাত্র ৭৫ টাকা পাওনা ছিল। পাওনা টাকা ফেরতের দাবি নিয়ে অশান্তি লেগেই ছিল। আর তার আক্রোশে নমাজ পড়ে ফেরার পথে ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। বীরভূমের নানুরের হারমুর গ্রামের এই ঘটনায় জখম হয়েছেন মৃতের ভাই। এখনও এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
মৃত বছর ষাটের শেখ শাহনাওয়াজ বীরভূমের নানুরে (Nanoor) হারমুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর ট্রাক্টর রয়েছে। সে গ্রামের বাসিন্দাদের জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করেন। কয়েক দিন আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা শেখ শাহজাহান, শেখ তারু, শেখ জামিরদের বীজতলাতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করেন শাহনাওয়াজ। এরা প্রত্যেকে একে অপরের ভাই। অভিযোগ, চাষ করার জন্য শেখ শাহনাওয়াজের সঙ্গে ৬৭৫ টাকা দেওয়া চুক্তি হয়েছিল। ৬০০ টাকা দিলেও ৭৫ টাকা দেয়নি শেখ শাহজাহান, শেখ তারু এবং শেখ জামির। তারা জানিয়ে দেয়, ৬০০ টাকার বেশি এক পয়সাও তারা দেবে না।
[আরও পড়ুন: প্রতিবেশী বউদির সঙ্গে পরকীয়া, যুবক-যুবতীকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে বেধড়ক মার]
তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। শনিবার সকালে শেখ শাহনাওয়াজের দুই ছেলের সঙ্গে শেখ শাহজাহান, শেখ তারু ও শেখ জামিরের ঝগড়াঝাটি শুরু হয়। বেলা ১০টা নাগাদ শেখ শাহনাওয়াজের ভাই শেখ সদাই মসজিদে নমাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় দু’জনেকে প্রকাশ্যে রাস্তায় লাঠি, চেলা কাঠ দিয়ে মারধর করা শুরু হয়। শেখ সদাই পালিয়ে যায়। তবে শেখ শাহনাওয়াজ পালাতে পারেননি। তাঁকে একা পেয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বলেই অভিযোগ।
এই ঘটনায় আহত হয়েছে শেখ শাহনাওয়াজের ভাই শেখ তারু। তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। নানুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে হারমুর গ্রামে যায়। অভিযুক্তদের ধরতে গ্রামে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। নিহত শেখ শাহনাওয়াজের স্ত্রী হামিদা বিবি বলেন, “চাষ করার জন্য ট্রাক্টর নেওয়ার জন্য ৬৭৫ টাকার চুক্তি হয়ে ছিল। তার মধ্যে ৬০০ টাকা দিয়েছিল। ৭৫ টাকা পেত। শনিবার সেই টাকা চাইতে গিয়েছিল। শেখ শাহজাহান, শেখ তারু, শেখ জামির শাহনাওয়াজকে পিটিয়ে মারে। আমি ওদের শাস্তি চাই।” মৃতের ভাই শেখ সদাই বলেন, “৭৫ টাকার জন্য একজন মানুষকে প্রকাশ্য পিটিয়ে মেরে দিল। নমাজ পড়ে আমরা দু’ভাই বেরোচ্ছিলাম। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে।”