সম্যক খান, মেদিনীপুর: প্রসূতির পাশাপাশি এবার আশঙ্কাজনক মেদিনীপুর হাসপাতালে জন্মানো এক সদ্যোজাত। তাকে এনআইসিউতে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক দল পর্যবেক্ষণে রেখেছে তাকে। তবে এখনই অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার মতো পরিস্থিতি হয়নি বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। এদিকে 'বিষাক্ত স্যালাইন' কাণ্ডের তদন্তভার পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছেছেন সিআইডির আধিকারিকরা।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর, পাঁচ প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। মারা যান মামণি রুইদাস নামের এক প্রসূতি। বাকিরা চিকিৎসাধীন। তাঁদের সন্তানদের অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। তবে আচমকাই রেখা সাউয়ের সন্তানের অবস্থার অবনতি হয়েছে। তার একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে খবর। সদ্যোজাতকে মেদিনীপুর মেডিক্যালের এনআইসিউ বিভাগে রাখা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। চিকিৎসক তারাপদ ঘোষ জানান, "রেখা সাউয়ের সন্তানের অবস্থা কিছুটা খারাপ। সদ্যোজাতের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।" এদিকে রেখার শারীরিক অবস্থা আগের থেকে কিছুটা ভালো বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা মৃত মামণি রুইদাসের সন্তানের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর, মামণির সন্তানকে ঠান্ডা ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারও একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে মামণির মৃত্যু ও বাকিদের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী 'হিউম্যান এরর' না কি 'মেডিসিন এরর' তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। সোমবার মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠকে জানান এই ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। গোটা ঘটনার তদন্তভার পেয়েই আজ মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে পৌঁছান সিআইডির দুই সদস্য।