দেব গোস্বামী, বোলপুর: গ্রেপ্তারির আগে পর্যন্ত প্রতি বছর নানুরের মিলনমেলায় যেতেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর জন্য বিশেষ উপহারের বন্দোবস্ত করতেন মেলা উদ্যোক্তারা। মাঝে জেলে থাকার সময় আর কোনও অনুষ্ঠানেই থাকতে পারতেন না তিনি। তবে ২ বছর পর জেল থেকে ফিরেছেন 'কেষ্ট'। তা সত্ত্বেও মিলনমেলায় দেখা গেল না তাঁকে। অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা গেল বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে। ৫ কেজি ওজনের রুপোর মুকুটও পরানো হল তাঁকে। 'কেষ্ট'র অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে তৃণমূলের উদ্যোগে মিলনমেলার আয়োজন হয় নানুরে। গত প্রায় ৬ বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করতেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান। প্রতি বছর মিলনমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনুব্রত মণ্ডল উপস্থিত থাকতেন। তাঁকে দেওয়া হত বিশেষ উপহার। কখনও রুপোর মুকুট, আবার কখনও রুপোর তরবারি উপহার দেওয়া হত তাঁকে।
অতীতে অনুব্রত মণ্ডলকে রুপোর মুকুট উপহার দেওয়া হয়
গত বছর অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন জেলে। সেই সময় তাঁর অনুপস্থিতিতে সভাধিপতি কাজল শেখকে থুপসারা অঞ্চল থেকে উপহার দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া আড়াই কেজি ওজনের রুপোর থালা। চলতি বছর অনুব্রত নাকি কাজল কে পাচ্ছেন বিশেষ উপহার, তা নিয়েই চাপানউতোর তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল এবার কি একমঞ্চে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে দেখা যাবে? তাহলে দ্বন্দ্বের কি অবসান ঘটতে চলেছে? সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঞ্চে দেখা গেল শুধুই কাজল শেখকে। তাঁকে রুপোর মুকুট পড়ালেন থুপসারা গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী-সমর্থকরা। দাম পড়েছে প্রায় ৪ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। মেলায় দেখাই পাওয়া গেল না অনুব্রত মণ্ডলের। কেন তাঁকে দেখা গেল না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
(বাঁদিকে) মাথায় রুপোর মুকুট পরা অনুব্রত মণ্ডল এবং (ডানদিকে) মাথায় রুপোর মুকুট পরা কাজল শেখ