নন্দন দত্ত, সিউড়ি: খুনের চেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল তাঁকে। সরকারি আইনজীবীদের আপত্তি উড়িয়ে অনুব্রতর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। ২ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে ২৪ ফেব্রুয়ারি ফের দুবরাজপুর আদালতে অনুব্রতকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এদিন আদালতে তৃণমূল নেতাকে ফের সাতদিনের হেফাজতে চেয়েছিল দুবরাজপুর পুলিশ। তাদের দাবি ছিল, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত মণ্ডল। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে আরও তদন্তের দরকার আছে। পালটা জামিনের আরজি জানান অনুব্রতর আইনজীবী। যার বিরোধিতায় আদালতে সরব হয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী। কিন্তু তাদের আপত্তিতে আমল দেননি বিচারক। এরপর দুর্গাপুর কমিশনারেটের একটি গাড়ি এসে অনুব্রতকে আসানসোল সংশোধনাগারে নিয়ে যায়। গাড়িতে ওঠার আগে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ভাল সিদ্ধান্ত।”
[আরও পড়ুন: ফিরে দেখা ২০২২: অর্থ-অনর্থ! রাজ্যজুড়ে টাকার পাহাড়, দুর্নীতিতে নাম জড়াল যে রাজনীতিকদের]
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলে অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। জেরার স্বার্থে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়েছিল তারা। অনুমতিও মিলেছিল আদালতের। কিন্তু দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগেই তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুবরাজপুর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত। তাঁকে আসানসোল জেল থেকে দুবরাজপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। দুবরাজপুর আদালতের নির্দেশে আপাতত সেখানেই রয়েছেন তিনি। ফলে তার দিল্লিযাত্রা আটকে যায়। এদিন জামিন মেলায় ফের কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক বাধা কাটল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে ৯ জানুয়ারি অবধি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে না, এমনই নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট।
দুবরাজপুরের (Dubrajpur) তৃণমূল নেতা, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডলকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে নতুন করে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে দুবরাজপুর থানায়। আর সেই মামলাতেই ইডির হেফাজতে দিল্লি যাওয়া থেকে আপাতত স্বস্তি মিলেছিল বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির। গত সপ্তাহে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগে শিবঠাকুর মণ্ডল নিজেই তাঁর বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই হেফাজতে আসানসোল জেলে থাকা অনুব্রত মণ্ডলকে দুবরাজপুর থানার লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়। ৭ দিন তিনি এখানেই ছিলেন। মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে।