সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার গভীর রাতে জগদ্দলে গুলি চলার ঘটনায় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে তলব করল জগদ্দল থানা। বৃহস্পতিবার থানা থেকে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সকাল ১০টার মধ্যে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ বলে খবর। এদিকে, অর্জুনের দাবি তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। যদিও তৃণমূলের দাবি, অর্জুন নিজে গুলি চালিয়েছেন। এদিকে ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে পেশ করা হয়েছে।

গুলিকাণ্ডে তাঁকে তলব করা হয়েছে তা স্বীকার করেছেন অর্জুন সিং। তবে তিনি যাবেন না বলেই তাঁর ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে অর্জুন বলেছেন, "এলাকায় অনেক সিসিটিভি ফুটেজ আছে। সেগুলি খতিয়ে দেখুক পুলিশ। তাহলেই বোঝা যাবে কে গুলি চালিয়েছে। আমার এত খারাপ অবস্থা হয়নি, আমাকে নিজের হাতে গুলি চালাতে হবে।"
বুধবার গভীর রাতে অর্জুনের বাড়ির সামনে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে বলে অভিযোগ। ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, মেঘনা মিলের শ্রমিকদের মধ্যে অশান্তি হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে যান ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ছেলে, নমিত সিং। এরপরই বচসা বড় আকার নেয়। গুলি চলে বলে অভিযোগ।
অর্জুন সিংয়ের দাবি, বুধবার রাতে মজদুর ভবনেই ছিলেন তিনি। আচমকা ২ রাউন্ড গুলির শব্দ পান। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মেঘনা মোড়ের কাছে যান তিনি। তখনই দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এরপরই পালটা ধাওয়া করেন তাঁরা। তাতেই চম্পট দিতে গিয়ে জখম হন এক যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকায়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
ঠিক উলটো দাবি করেছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, পড়ে গিয়ে চোট নয়, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নমিত সিং ঘনিষ্ঠ সাদ্দাম নামে ওই যুবক। খোদ অর্জুন সিং তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্য়োতি ঘোষের কথায়, “সাংসদ তহবিলের অর্থে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্মার্ট ওপিডি ভবনের শিলান্যাস হয়েছে সাংসদের তহবিলের অর্থে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্মার্ট ওপিডি ভবনের শিলান্যাস হয়েছে আজ। সেই গাত্রদাহেই বোমা-গুলির রাজনীতি করছেন অর্জুন সিং।”