shono
Advertisement

Suvendu Adhikari: বামেদের বিজেপির পাশে দাঁড়ানোর ডাক, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দুর মন্তব্যে জল্পনা

'চোর ডাকাতের সঙ্গে নেই', পালটা প্রতিক্রিয়া সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর।
Posted: 09:25 PM Feb 01, 2023Updated: 09:25 PM Feb 01, 2023

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন বামপন্থীরা ভোট দিয়েছিল বলে জিতেছিলাম। আজ একদা ‘বাম ঘাঁটি’ বলে পরিচিত কুলতলিতে এসে সেই বামপন্থীদের আবার বিজেপির পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানালেন। সিপিএম এবং এসইউসিআই সকলকেই তিনি পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের সরকার তৈরি কথা বলেন। তবে শুভেন্দুর কথাতে আদৌ সিপিএম এবং এসইউসিআই সাড়া দেবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্ধিহান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা। ইতিমধ্যেই কুলতলিতে গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি বিজেপির পক্ষে রাজ্যে একা পঞ্চায়েত দখল করা সম্ভব নয় বলেই বামপন্থীদেরকে সঙ্গী হিসেবে চাইছে রাজ্যের বিরোধী দল।

Advertisement

বুধবার কুলতলির মইপিটে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়, জেলা বিজেপির তরফ থেকে। যে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমি যখন রাস্তা দিয়ে আসি তখন বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বহু বামপন্থী মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তারা বলেছেন দাদা লড়াই করুন সঙ্গে আছি।” শুধু তাই নয় এলাকায় সংখ্যালঘু ভোট যথেষ্ট বেশি থাকার কারণেও সংখ্যালঘুদের মন জয় করার জন্য চেষ্টা করলেন। তিনি বলেন, “শুধু বামপন্থীরা নয় বহু সংখ্যালঘু মানুষের সাথেও দেখা হয়েছে তারা বলেছেন নওশাদ ভাইয়ের গায়ে হাত দিয়েছে। এবার এই সরকারকে টেনে নামাতে হবে। পঞ্চায়েতগুলিতে সিপিআইএম, এসইউসিআই, হিন্দু-মুসলমান করলে চলবে না। সকলে মিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে হবে। এখানে কোন ভেদাভেদ করলে চলবে না। শুধু একটাই লক্ষ্য জনগণের পঞ্চায়েত তৈরি করতে হবে।”

[আরও পড়ুন: স্বপ্নের ফর্মে শুভমন গিল, কিউয়ি বোলিং ধ্বংস করে পেলেন প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি]

উল্লেখ্য, শুভেন্দুর ভাষণে বেশিরভাগটাই জুড়ে ছিল কেন্দ্র সরকারের বাজেট। কী কী সুফল মধ্যবিত্ত পরিবার পাবে, সে বিষয়ে বক্তৃতা দেন বিজেপি বিধায়ক। কুলতলির বহু মানুষ মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এবার মৎস্যজীবীদের জন্য কেন্দ্র বাজেটে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ম্যানগ্রোভ লাগানোর জন্য আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। যাতে কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থের সুফল মৎস্যজীবীরা পান, তার জন্য পঞ্চায়েতগুলিতে বিজেপিকে জেতানোর আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কথায়, “১০০ দিনের কাজের টাকার তদন্ত শুরু হয়েছে। মিড ডে মিলের দুর্নীতি দেখতে কেন্দ্রীয় দল ঘুরছে বিভিন্ন এলাকাতে। আবাস যোজনার দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে এই জেলাতেও পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় দল। ফলে এখানে কোন সেটিং চলবে না। এবার বাজেটে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রকল্পের বরাদ্দ বেড়েছে। ফলে সমস্ত কাঁচা বাড়ির মানুষের মাথাতে পাকা বাড়ির ছাদ দিতে গেলে পঞ্চায়েতগুলিতে পরিবর্তন আনতে হবে। তার কারণ ঘরের তালিকা তৈরি করে পঞ্চায়েত। আর তা করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন কখনই সফল হবে না। কুলতলিতে সব থেকে বেশি দুর্নীতি করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজে একশো কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। ১৭টি প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে।”

বামপন্থীদেরকে জোট বাধার কথা বলার তীব্র সমালোচনা করেছেন এসইউসিআইয়ের প্রাক্তন সাংসদ ডঃ তরুণ মণ্ডল। তিনি বলেন, “যেকোনো রাজনৈতিক দল ভোটের স্বার্থে জোটের আহ্বান করতেই পারেন। রাজ্যের শাসকদল যদি চোর হয় তাহলে কেন্দ্রে যারা আছে তারা মহাচোর। রাজ্যের মানুষকে লুট করছে রাজ্য সরকার। আর কেন্দ্রে থেকে আরও বেশি লুট করছে কেন্দ্রের সরকার। আমরা বামপন্থীরা ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের দল পথচলা শুরু হয়েছে। আর সেভাবেই আমরা চলব।” এ বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কয়েকদিন আগেও মমতা বলছিলেন লাল ঝান্ডার চিহ্ন যেন কোথাও দেখা না যায়। শুভেন্দু একই কথা বলেছিলেন। আজ মমতাও চাইছেন আবার শুভেন্দুও চাইছেন একসঙ্গে পথ চলতে, হঠাৎ এমন কী হল? আমরা মানুষের লড়াইয়ের সঙ্গে আছি। চোর ডাকাতের সঙ্গে নেই।”

[আরও পড়ুন: ‘দিদি একা সামলাতে পারছেন না’, মানিকের ২টি পাসপোর্টের হদিশে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement