সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষার পাহাড়ে হেভিওয়েটদের সমাগম! জিটিএ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য আগেই পাহাড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও (Jagdeep Dhankar) ওই একই কারণে বুধবার দার্জিলিংয়ে পা রেখেছেন। রাজ্যের এই দুই হেভিওয়েটের পাহাড় সফর প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু এদিন খানিক অপ্রত্যাশিতভাবে আরও এক হেভিওয়েট পাহাড়ে গিয়েছেন। তিনি হলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়া হঠাত কেন দার্জিলিংয়ে গেলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী? একটা সময় পাহাড়জুড়ে এ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। পরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) টুইটে তাঁর উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়। ধনকড় জানান, অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে তিনিই দার্জিলিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। একদিনের জন্য তিনি দার্জিলিংয়ের রাজভবনের আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন। সেই মতো এদিন দুপুরে দার্জিলিং রাজভবনে হাজির হন হিমন্ত। রাজ্যপালের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একদফা কথা হয়ে গিয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: এবার ১৮ ঊর্ধ্বদেরও বিনামূল্যে দেওয়া হবে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার]
কিন্তু কেন হঠাৎ দার্জিলিংয়ে হিমন্তকে ডাকলেন ধনকড়? আসলে রাজ্যপাল পাহাড়ে গিয়েছেন জিটিএ’র শপথ অনুষ্ঠানে। শপথের পর জিটিএ’র (GTA) নতুন বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে আলোচনাও করবেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, জিটিএ বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বসার আগে এই ধরনের স্বশাসিত সংস্থার কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে চান রাজ্যপাল। সেকারণেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে (Raj Bhawan) ডেকেছেন। আসলে অসমে জিটিএ’র মতো বেশ কয়েকটি স্বশাসিত সংস্থা আছে। যার মধ্যে সদ্যই কারবি আংলং টেরিটোরিয়াল অথরিটির নির্বাচন হয়েছে। যাতে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ীও হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, রাজ্যপাল এই টেরিটোরিয়াল অথরিটিগুলি কীভাবে কাজ করে? এদের রাজ্য বা কেন্দ্র কীভাবে সাহায্য করে সবটাই জেনে নিতে চান।
[আরও পড়ুন: ভাঙনের মুখে মহা বিকাশ আগাড়ি? দ্রৌপদীকে সমর্থন করায় উদ্ধবকে তোপ কংগ্রেসের]
এদিকে হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) রাজভবনে থাকাকালীনই এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের ডাকে সেখানে যান। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্য আলোচনা হয়েছে। দুই মুখ্যমন্ত্রী একে অপরকে উত্তরীয়ও পরিয়ে দিয়েছেন। আলোচনা শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, “পাশাপাশি রাজ্য। আমার মনে হয়, আমাদের সম্পর্ক রাখা উচিত। অনেক সময় বাংলার অনেকে অসমে থাকে, অসমের অনেকে বাংলায় থাকে। দুই রাজ্য সরকারের মধ্যে যোগাযোগ থাকা উচিত।”