সুব্রত বিশ্বাস: মোবাইলে কথা বলতে বলতে রেললাইন পেরচ্ছিলেন মহিলা আইনজীবী। ট্রেনের শব্দ কানে যায়নি। ফলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেই গেল। ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন ওই আইনজীবী। বৃহস্পতিবার বারাসত স্টেশনের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে তাঁর সহকর্মীরাই মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পরে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে জিআরপি।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা আইনজীবীর নাম বন্দনা মাইতি, বয়স ৫৭ বছর। তিনি দমদমের বাসিন্দা। বারাসত আদালতের আইনজীবী বন্দনাদেবী। বৃহস্পতিবার দুপুরে রেললাইনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আদালতের আইনজীবীরাই প্রাথমিকভাবে বন্দনাদেবীকে শনাক্ত করেন। জানা যাচ্ছে, দুপুর ১২.৪৮ মিনিট নাগাদ জিআরপি থানার সামনে চার নম্বর লাইন ধরে পার হচ্ছিলেন তিনি। সেসময় ফোনে কথা বলছিলেন। এমন সময় আপ বনগাঁ লোকালটি এসে পড়ে একই লাইনে। ট্রেনটি বার বার হর্ন দিলেও কানে ফোন থাকায় তিনি শুনতে পাননি। ফলে সেখানেই ট্রেনের ধাক্কায় রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন। মৃত্যু হয় বন্দনা মাইতির।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্টেশনে ছুটে আসেন বারাসত আদালতের আইনজীবীরা। তাঁরাই সহকর্মী বন্দনাদেবীর দেহ শনাক্ত করেন। এর পর জিআরপি দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। খবর পাঠানো হয় তাঁর পরিবারেও। আচমকা সহকর্মীর এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে হতবাক সকলে। তবে এই দুর্ঘটনা আরও একবার দেখিয়ে দিল, রেললাইন পারাপারের সময় ফোনে কথা বলা কতটা বিপজ্জনক। রেল পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, জনগণকে বার বার এ বিষয়ে সচেতন করা হয়। বিভিন্ন স্টেশনে দিনভর মাইকে ঘোষণা করা হয়। তার পরও তাঁরা সচেতন হননি। এমনকী একজন আইনজীবীরও এতটুকু হুঁশ নেই, যে কারণে তাঁকে প্রাণ দিতে হল।