নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে মুম্বইয়ের নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ৷ সুযোগ বুঝে কোনওক্রমে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন ওই তরুণী৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করল বনগাঁ থানার পুলিশ৷
[ভাইফোঁটা নিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, মৃত একই পরিবারের ৩ জন]
অভিযুক্ত যুবক মুন্না মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগনার জয়পুরের বাসিন্দা৷ বেশ কয়েকবছর ধরেই ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার৷ ক্রমশই গভীর হয় সম্পর্ক৷ তরুণীকে বিয়ে করারও প্রতিশ্রুতি দেয় মুন্না৷ বিয়ে করার জন্য বাড়ির লোকজনকে না জানিয়েই মুন্নার সঙ্গে বনগাঁ থেকে কলকাতায় চলে আসেন তরুণী৷ বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার নাম করে প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বইয়ে যায় মুন্না৷ তরুণীর অভিযোগ, মুম্বইতে নিয়ে গিয়ে মুন্না তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে৷ এরপরই নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাঁকে৷ এমনকি, জোর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাঁকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হয় বলেও অভিযোগ তরুণীর৷ সুযোগ বুঝে কোনওরকমে ওই তরুণী মুম্বইয়ের নিষিদ্ধপল্লি থেকে পালিয়ে যান৷ মুম্বই থেকে বনগাঁয় ফিরে আসেন তিনি৷ বাড়ির লোকজনদের গোটা ঘটনার কথা জানান তরুণী৷ এরপর বনগাঁ থানার দ্বারস্থ হন তিনি৷ অভিযোগ দায়ের করেন৷ তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মুন্না মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে৷ তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ শুক্রবার বনগাঁ আদালতে পেশ করা হয় ওই অভিযুক্তকে৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুন্নাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক৷ মুন্না নাকি এই পাচার কাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷
[দেনার দায়ে আত্মঘাতী বারুইপুরের মার্বেল ব্যবসায়ী]
এদিকে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ। আকাইপুরের মাটিহারার বাসিন্দা মনিরুলের সঙ্গে এক বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলার বছরখানেক আগে সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, মনিরুল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে৷ অভিযোগ, শারীরিক সম্পর্কের পর ওই মহিলাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি মনিরুল৷ ইতিমধ্যেই ওই মহিলা জানতে পারেন মনিরুল বিবাহিত৷ পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই মনিরুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷
