ধীমান রায়, কাটোয়া: রাজ্যে ভোট (West Bengal Assembly Elections) পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। এবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের বলি আরও এক তৃণমূল নেতা। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কেতুগ্রামে। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় প্রাণ গিয়েছে ওই প্রৌঢ়ের। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের (Ketugram) মালগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মৃত শ্রীনিবাস ঘোষ(৫৪)। কেতুগ্রামের আগরডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ নম্বর সদস্য ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ৯ টা নাগাদ মালগ্রামে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আগরডাঙ্গা পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান মিঠুন মিঞার কথায়, “আমাদের পঞ্চায়েত সদস্য শ্রীনিবাস ঘোষ রাতে ধানকাটার কাজের শ্রমিকের জন্য এক পাড়ায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠিসোটা ও টাঙি নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়। শ্রীনিবাসকে কোপানো হয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আরও দুই তৃণমূল কর্মী জখম হন।” তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে ব়্যাফ ও বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: বিস্বাদ তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেল! জামানত জব্দ মীনাক্ষী-ঐশী থেকে অশোক-মান্নানদের]
তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে কেতুগ্রামের বিজেপি প্রার্থী মথুরা ঘোষ বলেন, “ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার, ভাঙচুর শুরু করেছে। মালগ্রামে আমাদের কর্মীরা রবিবার রাত থেকেই গ্রামছাড়া। তাহলে আমাদের কর্মীরা কী করে হামলা করল?” মথুরাবাবুর দাবি, “তৃণমূলের কিছু বহিরাগত লোকজনের হামলাতেই ওই পঞ্চায়েত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।” পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে।