সম্যক খান, মেদিনীপুর: গত কয়েকদিন আগেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রকাশিত খসড়া তালিকায় মোট ৫৮ লক্ষ ২০ হাজার ৮৯৮ জনের নাম বাদ পড়েছে। একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের বুথেও বহু ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বুথও। তথ্য বলছে, সবথেকে বেশি নাম বাদ পড়েছে তাঁর বুথে।
কলকাতা থেকে নাম কাটিয়ে অনেক আগেই খড়গপুর শহরের ভোটার হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। নাম তুলেছেন রেলনগরী খড়গপুর শহরের ২৬৩ নম্বর বুথে। এসআইআরের কবলে পড়ে সেই বুথেই এবার নাম কাটা গিয়েছে ২৩৫ জনের। যার মধ্যে মৃত ভোটার ১৯। স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত ভোটার ১১। নো ম্যাপিং ৭৬। ১৯৬ জন ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন। আর এই তথ্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, রেলকলোনী এলাকা বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। চাকরি সূত্রে অনেকেই এখানে আসেন, আবার অন্যত্র চলে যান। তাই ভোটার কমেছে।
প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষের ওই বুথে আগে ভোটার ছিলেন ৭৭৯। এসআইআর খসড়া ভোটার তালিকা (Bengal SIR Draft Voter List) প্রকাশের পর ভোটার কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭২- এ! অন্যদিকে অপর হেভিওয়েটদের মধ্যে রয়েছে রাজ্যের মানস ভুঁইয়া। তাঁর ১০ নম্বর বুথে মাত্র ২১ জনের নাম বাদ গিয়েছে। জেলার অপর মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো শালবনীর ৩০৮ নম্বর বুথের ভোটার। তাঁর বুথে ভোটার বাদ গিয়েছে মাত্র ১৮। আবার মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃনমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা শহরের ২১১ বুথের ভোটার। তার বুথে ১৩৫ জন ভোটার বাদ পড়েছেন। যার মধ্যে মৃত ভোটার ৭১ জন।
বলে রাখা প্রয়োজন, কমিশনের প্রকাশিত তালিকায় মোট ৫৮ লক্ষ ২০ হাজার ৮৯৮ জনের নাম বাদ পড়েছে। যার মধ্যে নিখোঁজের সংখ্যা ১২ লক্ষ ২০ হাজার ৩৮ জন। অনুপস্থিত ১৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৬ জন, মৃত ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৮৫২ জন, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩৮ হাজার। ‘ভূতুড়ে’ ভোটারের সংখ্যাও উল্লেখ করা হয়েছে খসড়া তালিকায়। সেই সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩২৮ জন। ইতিমধ্যে শুনানির জন্য নোটিশও পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
