সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পকেট গড়ের মাঠ। এবার দেশের সরকারি বিমান সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু এরপরেও পুরো টাকা ঢুকবে না সরকারের পকেটে। কিন্তু জানা গিয়েছে, এই শর্তেই রাজি শেহবাজ শরিফের সরকার।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিমান (Pakistan International Airlines) সংস্থার ১০০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার। পাশাপাশি এই সংস্থার পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্বও ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে শেহবাজের সরকার। এর মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে পিআইএ অধিগ্রহণে আগ্রহী চার সংস্থার দাবি ছিল বিক্রির পরে সরকারের কোনও রকম হস্তক্ষেপ তাঁরা চায়না। সেই কারণেই সগস্থার পরিচালনা থেকে পুরোপুরি হাত তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই চার সংস্থার মধ্যে রয়েছে, লাকি সিমেন্ট কনসর্টিয়াম, আরিফ হাবিব কনসর্টিয়াম, ফৌজি ফাউন্ডেশনের মালিকানাধীন ফৌজি ফার্টিলাইজার এবং এয়ার ব্লু।
২৩ ডিসেম্বর দরপত্র আহ্বানের সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লোকসানে চলা জাতীয় বিমান সংস্থার ৭৫ শতাংশ শেয়ারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। এই দরপত্রে যারা জয় পাবে তাঁদেরকে ১২ শতাংশ প্রিমিয়ামে এক মাসের মধ্যে বাকি ২৫ শতাংশ কেনার সুযোগ দেওয়া হবে। বাকি ২৫ শতাংশের জন্য অতিরিক্ত ১২ শতাংশ টাকা নেওয়া হবে কারণ ক্রেতাকে এই টাকা দেওয়ার জন্য একবছর সময় দেওয়া হবে।
যদিও, যে দামে এই সংস্থা বিক্রি হবে সেই পুরো টাকা পাবে না সরকার। মোট দামের মাত্র ৭.৫ শতাংশ টাকা পাবে সরকার। বাকি ৯২.৫ শতাংশ টাকা, বিমান সংস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য ব্যবহার করা হবে। যদিও, এই টাকা দিয়েও সংস্থা বাঁচানো সম্ভব হবে না বলেই জানা গিয়েছে। এই বছর, পিআইএ-র পিছনে ১০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। কর্মীদের বেতন, পেনশন, মেডিক্যাল খরচ এবং ধার মেটাতে এই টাকা খরচ হবে।
পিআইএ-র ধার শোধ করার পরেও ৮০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে কর এবং বিমানবন্দর খরচ হিসেবে। এই মুহুর্তে পিআইএ-র হাতে ৩৪টি বিমান আছে। এর মধ্যে ১৮ বিমান ওড়ার মত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু পিআইএ-র হাতে ৯৭টি দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবতরণ স্লট এবং এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট আছে।
