সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়া ডিভিশনের বেলমুরিতে লাইনে বড়সড় ফাটল! অল্পের জন্য রক্ষা পেল বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। প্রায় আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। প্রায় এক ঘণ্টা পরিষেবা ব্যাহত হয় হাওড়া-বর্ধমান লাইনে। জানা গিয়েছে, গেটম্যানই লাইনের ফাটল লক্ষ্য করেন। তাঁর তৎপরতাতেই দুর্ঘটনা এড়াল বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসটি।
শুক্রবার দুপুরে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার বেলমুড়ি স্টেশনের অদূরে আপ লাইনে এই ফাটল দেখতে পান ৪০ নম্বর গেটের কর্তব্যরত গেটম্যান। সেই সময় ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা গুয়াহাটিগামী ওই এক্সপ্রেসটির। গেটম্যান দৌড়ে গিয়ে লাল ঝাণ্ডা এনে তা লাইনে পুঁতে দেন। এরপরেই ঘটনাস্থলে এসে পড়ে ট্রেনটি। চালক বিপদ বুঝে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেন। এদিকে, পরপর এসে পড়ে বর্ধমানগামী লোকাল। সেগুলোও পরপর দাঁড়িয়ে যায়। এরপর খবর যায় ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাছে। তারা এসে লাইন ওয়েলডিং করা শুরু করে।
এনিয়ে পূর্ব রেলের মুখপাত্র পিআরও দীপ্তিময় দত্ত জানিয়েছেন, এই বিপত্তির কারণে দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল আপ-কর্ড লাইনে। শীতের পর গরম পড়তে শুরু করায় তাপমাত্রার তারতম্যের ফলে এই ধরণের ফাটল ধরে লাইনে বলে তিনি জানান। যদিও প্রায়ই লাইনে এই ধরণের ফটাল ধরার জন্য ইস্পাতের মানকেই দায়ী করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মীরা। তাঁদের কথায়, লাইন তৈরির সময় যে পরিমাণ হাইড্রোজেন ব্যবহার করার কথা, পরিকাঠামো না থাকায় তা দেওয়া হয় না। ফলে সহজেই তাপমাত্রার তারতম্যে লাইনে ফাটল ধরে। দেশজুড়ে রেলের উন্নয়নের নানা প্রকল্প যখন হচ্ছে তখন লাইনে ফাটল এড়ানোর মতো ব্যবস্থা না থাকায় একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা।
