শেখর চন্দ্র, আসানসোল: পুরভোটের আঁচে তপ্ত আসানসোল (Asansole)। সাতসকালে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির জিতেন্দ্র তিওয়ারি। অভিযোগ, নির্বাচনী বিধি ভেঙে বুথে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন তিনি। যদিও জিতেনের সাফাই, ওই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী চৈতালি তিওয়ারি তাঁর স্ত্রী। চৈতালির নির্বাচনী এজেন্ট তিনি। সেই অধিকারেই বুথে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন জিতেন্দ্র। সবমিলিয়ে তুমুল উত্তেজনা আসানসোলে।
আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী। শনিবার সকালে ওই ওয়ার্ডের হাজি কদম রসুল স্কুলের বুথে আসেন সস্ত্রীক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। অভিযোগ, নির্বাচনীবিধি ভেঙে সশস্ত্র রক্ষী নিয়ে বুথে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র। সেই সময় তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। স্থানীয়দের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন জিতেন্দ্র। কথা কাটাকাটি হয় পুলিশের সঙ্গেও। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিধায়ক এলাকায় থাকলেই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: হামলা চালাবে রাশিয়া! ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলল আমেরিকা]
যদিও জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। প্রার্থীর চৈতালির নির্বাচনী এজেন্ট তিনি। তাই বুথে ঢুকতেই পারেন। এদিকে বচসা চলাকালীন প্রার্থী চৈতালিকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী। সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ জানানোর সময় কেঁদেও ফেলেন মহিলা প্রার্থী। তাঁর কথায়, “গো ব্যাক স্লোগান দিতে দিতে আমার বুকে, কাঁধে মেরেছে।” যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: বল ভেবে বোমায় হাত, খাস কলকাতায় বিস্ফোরণে হাত উড়ল কিশোরের]
উল্লেখ্য, আসানসোলে ভোট শুরুর আগেই অশান্তি শুরু হয়েছে। বার্ণপুরে ‘বহিরাগত’দের প্রবেশের অভিযোগ তুলে বিজেপি বিক্ষোভ দেখায়। আসানসোলের ২০ ও ২২ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শুভাশিস দাস ও বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে আটক করে পুলিশ। আবার হীরাপুর থানা ঘেরাও করে বিজেপি। আসানসোলের ৮৮,৮৯ নং ওয়ার্ডে বিজেপির এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সরব হয় বিজেপি বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি।