দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: এবার বেফাঁস বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তৃণমূল নেতাদের আটকে রাখার নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তিনি। এদিকে পুলিশকে চুবিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়ে নতুন করে সমালোচনার মুখে প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দুই বিজেপি নেতাকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। কোথাও আবার আমজনতার ক্ষোভের মুখে পড়ছেন দিদির দূতেরা। গতকাল ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পালটা পদ্মশিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী তাঁকে চড় মেরেছেন। সেখানে বিধায়ক তথা মন্ত্রী রথীন ঘোষ ছিলেন বলেও শোনা যায়। সেই ঘটনাকে উল্লেখ করেই এদিন তৃণমূলকে বিঁধলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ‘উষ্ণতম’ মকর সংক্রান্তির পরই বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা? কী বলছে হাওয়া অফিস?]
এদিন লকেট বলেন, “দিদির দূতেরা সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। ওরা সমস্যার সমাধান কীভাবে করবেন, ওরা তো নিজেরাই অসুবিধা। সমস্যা শুনতে গিয়ে চড় থাপ্পর মারছেন।” এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “যদি আপনাদের সমস্যা না শোনে, তাহলে ঘরের ভিতর বেঁধে রেখে নিজেদের অভিযোগ জানান।” এদিকে রাজারহাটে দিলীপ ঘোষ বলেন, “গত পঞ্চায়েতে ওরা ব্যালট বাক্স খালে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল। এবার সেরকম করলে বিশৃঙ্খলাকারীদেরও জলে ফেলুন। পুলিশ এলে ওদেরও চুবিয়ে ছাড়বেন।” দুই বিজেপি সাংসদের মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “ওরা জানে পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতেও পারবে না। এদিকে শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে চাপ আসছে। তারউপর সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সেই কারণে বিজেপি নেতারা অনেক কিছু বলছে।”