জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বঙ্গ বিজেপিতে ‘বিদ্রোহ’ লেগেই রয়েছে। পোর্ট গেস্ট হাউসে বৈঠকের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রবিবার ফের ঠাকুর বাড়িতে বৈঠকে শান্তনু (Shantanu Thakur)। যোগ দিলেন বিজেপির ৩ বিধায়কও। মতুয়া মহাসংঘের সাংগঠনিক বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেই দাবি বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। সূত্রের খবর, সিএএ কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশের পর থেকে বঙ্গ বিজেপির (BJP) অন্তর্কলহ ক্রমশ প্রকাশ্যে এসেছে। সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে মতুয়াদের এবং অভিজ্ঞদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। আর সেই অভিযোগে বনগাঁর ৫ বিধায়ক এবং সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। শনিবার পোর্ট গেস্ট হাউসে বৈঠকের পরও মতুয়াদের বঞ্চনার অভিযোগে সুর চড়িয়েছিলেন শান্তনু। বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: ভালবাসার টান, প্রেমিকের খোঁজে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়লেন বাংলাদেশি তরুণী, তারপর…]
হুঁশিয়ারির পর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রবিবার অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। দেশ, বিদেশের প্রায় সকল প্রান্তের সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন। ছিলেন বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, অশোক কীর্তনীয়া, সুব্রত ঠাকুরও। বৈঠকে এদিন কী আলোচনা হয়েছে, তা জানান খোদ বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, “বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আর কিছুই নয়।” সুব্রত ঠাকুরের দাবিও প্রায় একইরকম। এই বৈঠক সম্পূর্ণ পূর্ব নির্ধারিত বলে দাবি তাঁর। সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সুব্রত। তবে সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সিএএ (CAA) কার্যকর কেন হচ্ছে না, তা নিয়েও আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সিএএ কার্যকর করার দাবি তোলা হবে বলেও স্থির করেছেন তাঁরা।
তবে এদিনের বৈঠক নিয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই বলেই দাবি মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের (Mamata Bala Thakur)। শান্তনুর ‘বিদ্রোহ’কেও এদিন কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর মতে, দলে গুরুত্ব যদি বাড়াতেই হয় তো ‘বিদ্রোহ’ করতে পারেন শান্তনু।