সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শান্তিনিকেতন (Santiniketan)। মৃত খুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতোই তাঁকেও গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় বাসিন্দারা। তাঁদের সাফ কথা, “রাজনীতি চাই না। অভিযুক্তের শাস্তি চাই।” দীর্ঘক্ষণ অশান্তির পর সুকান্ত মজুমদার-সহ ছ’জনকে গ্রামে ঢোকার অনুমতি দেয় উত্তেজিত জনতা।
তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার প্রতিবেশীর ছাদ থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা জারি এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মিছিল করে শান্তিনিকেতনের মোলডাঙার মৃত শিশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। তবে গ্রামের ঢোকার মুখেই তাঁদের বাধা দেয় উত্তেজিত জনতা। তাঁরা চাননি খুদের মৃত্যুতে কোনওভাবেই রাজনীতির রং লাগুক। গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করেন বিজেপি নেতারা। বাসিন্দাদের বাধাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে গ্রামবাসীরা জানান, সকলকে নয়, পাঁচ থেকে ছ’জনকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। সেই মতোই সুকান্ত মজুমদার-সহ ৬ জন ঢোকেন গ্রামে। কথা বলেন মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: ‘এমন দুর্নীতি দেশে বিশেষ দেখা যায়নি, লোককে কী জবাব দেব?’, পার্থ ইস্যুতে মন্তব্য সৌগতর]
প্রসঙ্গত, বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামে ঢোকার আগে তাঁর পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের দাবি, এই মৃত্যুতে কোনও রাজনৈতিক রং লাগতে দিতে চান না। এই এলাকায় বিজেপিকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এরমাঝেই চন্দ্রপুর থানার ওসি এসে বিজেপি নেত্রীকে আটকান। পালটা নেত্রীর দাবি, “আমি অনুমতি নিয়ে এসেছি। মায়ের কোল খালি হয়েছে, তার বিচারের দাবি করছি।” এরপরই তিনি চলে যান শান্তিনিকেতন থানায়। বাইরে ধরনায় বসেন বিজেপি নেত্রী এবং কর্মী-সমর্থকরা।