সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: দেশের যেখানে যেখানে গোর্খা জনজাতি আছে, সেখানে যেন বিজেপি একটাও ভোট না পায় সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে পথে নামছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চা সভাপতি তথা জিটিএ বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাং শনিবার শিলিগুড়ির পিন্টেল ভিলেজে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়ে দিলেন তিনি। বলেন, “বিজেপি এবং তাদের দার্জিলিংয়ের সাংসদ মিথ্যে কথা বলে প্রতিবার ভোট আদায় করছেন। আমরা আগে বলেছিলাম, পাহাড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব। এখন আমরা বলছি যেখানে গোর্খা জনজাতি রয়েছে, সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধাচরণ করা হবে। প্রয়োজনে প্রতিটি জায়গায় প্রচারে যাব। যদিও তাঁর দাবি এবং বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না রাজ্য বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে টেলিফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, “বিনয়কে নেতা বলে কেউ মানে না। ও কোথায় প্রচারে যাবে বা যাবে না, তাতে বিজেপির বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। তাছাড়া বিনয় তামাং নিজেই গোর্খা জনজাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, ফলে গোর্খারাই তাঁর কথা শুনবে না।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিমল গুরুংয়ের জমানা শেষ বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, “বিমল-রোশনকে ভুল বুঝিয়ে দিল্লিতে ১১টি গোর্খা জনজাতির তফসিলি উপজাতি তকমা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি সরকার। বিমল গুরুংরা পড়াশোনা জানেন না, তাই তাদের ভুল বোঝানো যেতে পারে। আমাদের ন্যূনতম অক্ষরজ্ঞান থাকায় আমাদের ভুল বোঝাতে পারবেন না।” তাঁর দাবি, ১১টি গোর্খা জনজাতিকে তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার প্রক্রিয়া এই সরকারের সময়সীমাতেও সম্ভব হবে না। কৌশলে এমনই প্রক্রিয়া করা হয়েছে, যা বিমলরা বুঝতে পারছে না। ফলে বিমল রোশনের পাহাড়ে ফেরার যে ক্ষীণ আশা তারা করছিলেন, এই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আশাও ধুলিসাৎ হয়ে গেল।
[বিজেপির পাশে নেই গোর্খা, পাহাড়ে ‘একলা চলো’ নীতি তামাংয়ের]
তবে বিজেপিকে সমর্থন না করলেও তারা এককভাবে লোকসভাতে লড়বেন না বলে এ দিন সাফ জানিয়ে দেন বিনয়। জোট করেই লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও কাদের সঙ্গে জোট বাঁধবেন, তা এখনই খোলসা করতে চাননি তিনি। তবে মুখে না বললেও তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যেতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে এদিন। বিজেপির পাশাপাশি পাহাড় থেকে কংগ্রেস সাংসদরাও এর আগে নির্বাচিত হয়ে গোর্খাদের জন্য কিছু করেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। ফলে কংগ্রেসকেও যে সমর্থন করবেন না তা মোটামুটি পরিষ্কার।
