দিব্যেন্দু মজুমদার ও অর্ণব দাস: স্ত্রীর পেশা নিয়ে দাম্পত্য কলহ। এর মাঝেই জলাশয়ের পাশ থেকে উদ্ধার যুবকের মুণ্ডহীন দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলিতে (Hooghly)। ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে স্ত্রী, দাবি যুবকের পরিবারের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শুভ্রজ্যোতি বোস। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানার অন্তর্গত পানিহাটির (Panihati) নেতাজি সুভাষ রোড এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে পানিহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দা শুভজ্যোতি বসুর সঙ্গে বিয়ে হয় উত্তরপাড়ার বাসিন্দা পূজা রায়ের। বিয়ের কয়েকদিন পর পূজা শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে যান বলে খবর। স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য গত ১ মে ওই যুবক শ্বশুরবাড়ি যায়। অভিযোগ, এরপর থেকেই যুবকের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। মাঝে ফোন করে অপহরণের কথা জানিয়েছিলেন যুবক। যদিও তারপর আর যোগাযোগ হয়নি পরিবারের সঙ্গে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেয় পরিবার। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এদিকে ২ মে হুগলি থেকে মুণ্ডহীন এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। মাথা না মেলায় যুবকের পরিচয় পেতে কালঘাম ছোটে পুলিশের।
[আরও পড়ুন: আজই ঘর ওয়াপসি? ‘কোথাও শেষের কাউন্টডাউন, কোথাও শুরুর’, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য অর্জুনের]
প্রায় ২০ দিনের মাথায় হুগলি শ্রীরামপুর থানার তরফে ফোন করা হয় শুভ্রজ্যোতির পরিবারে। দেহ শনাক্তের জন্য তলব করা হয়। রবিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা শুভ্রজ্যোতির ঘাড়ে থাকা ট্যাটু দেখে তাকে শনাক্ত করে। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আটক করা হয়েছে একজনকে। কিন্তু কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড? শোনা যাচ্ছে, শুভজ্যোতির স্ত্রী পূজা কল গার্ল ছিলেন। প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বিয়ের আগে তা জানতে পারেননি যুবক। বিয়ের পর মাঝে মধ্যেই উধাও হয়ে যেতেন স্ত্রী। তাতে বিষয়টা জানাজানি হয়। এরপরই শুরু হয় দাম্পত্যকলহ। স্ত্রীকে সঠিক পথে ফেরানোর চেষ্টাও করেছিলেন ওই যুবক। মৃতের পরিবারের দাবি, শুভ্রজ্যোতির মৃত্যুর পিছনে হাত রয়েছে স্ত্রী পূজার।
তবে এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। রহস্যভেদের পরই কথা বিষয়টি জানাবেন বলে সাফ জানিয়েছেন আধিকারিকরা।