দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দোলের আগের দিন বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। আর বাড়ি ফিরলেন না চন্দননগরের (Chandannagar) যুবক। দীর্ঘক্ষণ পর উদ্ধার হল ক্ষতবিক্ষত দেহ। বাইক দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু নাকি খুন করা হয়েছে ওই যুবককে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যুবকের মায়ের দাবি, খুন করা হয়েছে ছেলেকে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুমন মাঝি। হুগলি জেলার চন্দননগরের বাসিন্দা তিনি। পরিবারের দাবি, দোলের আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাবুল নামে এক বন্ধু তাঁকে ডাকতে যায় বাড়িতে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, হাবুল খানের সঙ্গেই বাড়ি থেকে বের হন সুমন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। গভীর রাতে দিল্লি রোড থেকে ক্ষতবিক্ষত ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সুমন।
[আরও পড়ুন: ‘জেদের জন্য ঐতিহ্যে ছেদ দুর্ভাগ্যের’, বসন্ত উৎসব বন্ধ নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তোপ শোভনদেবের]
পুলিশ প্রথমে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় যুবকের। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাইক দ্রুত গতিতে থাকার কারণেই ঘটেছে দুর্ঘটনা।
যুবকের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তবে দুর্ঘটনার তত্ত্বটি মানতে নারাজ মৃতের মা। মৃত যুবকের পেট চিড়ে গিয়েছিল, সেই কারণে দাবি করা হচ্ছে খুন করা হয়েছে সুমনকে। মৃতের মায়ের কথায়, “আমার ছেলে বাইক খুব ভালবাসত। সারাদিন বাইক চালিয়ে ঘুরত। বাইক দুর্ঘটনা ও করতেই পারে না।” তাঁর প্রশ্ন, যদি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়ে থাকে সুমনের তাহলে পেট চিড়ল কীভাবে। যদিও পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনার পর দেহ উদ্ধারের সময় লোহায় লেগে চিড়ে যায় পেট। ঘটনাকে ঘিরে শোকাচ্ছন্ন গোটা গ্রাম।