অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: হাওড়ায় দিনেদুপুরে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব! প্রকাশ্য রাস্তায় তরুণীর উদ্দেশে কুমন্তব্য, অশালীন স্পর্শ, শ্লীলতাহানির চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল। ভয়ে-লজ্জায় কাঁদতে কাঁদতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাতর আর্জি তরুণীর। দূর থেকে বোনের এই অবস্থা দেখে ছুটে যান দাদা। বোনের সম্ভ্রমরক্ষায় প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন যুবক। দুষ্কৃতীদের মারধরে মাথা ফাটল তাঁর। রবিবার হাওড়ার ডোমজুড়ের সলপ এলাকার ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল এলাকায়। এখনও এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ডোমজুড় থানা এলাকার সলপ পাকুড়িয়ার বাসিন্দা সুনীত দাস। রবিবার সায়েন্স সিটির কাছে হস্তশিল্প মেলায় যাওয়ার জন্য তিনি বোনকে নিয়ে বেরন। স্কুটারে লুকিং গ্লাস লাগানোর জন্য বোনকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে একটি দোকানে যান সুনীত। অভিযোগ, সেই সময়েই পাশের পাড়ার জনা কয়েক যুবক একা তরুণীকে পেয়ে উত্যক্ত করতে শুরু করে। প্রথমে কটূক্তি, তারপর শরীরে অশালীন স্পর্শ ও সেইসঙ্গে হুমকি। তরুণী স্বভাবতই রাগে-লজ্জায় কুঁকড়ে যান। দূর থেকে তা দেখতে পেয়েই ছুটে যান সুনীত। বোনের সম্ভ্রমহানির প্রতিবাদ করেন। আর তাতেই তাঁকে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হতে হয়।
সুনীতের অভিযোগ, ''আমরা সায়েন্স সিটির কাছে যে মেলা হচ্ছিল, সেখানে যাচ্ছিলাম। স্কুটারে লুকিং গ্লাস না থাকলে কলকাতা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাই লুকিং গ্লাস লাগানোর জন্য বোনকে দাঁড় করিয়ে আমি দোকানে যাই। একটু পরই দূর থেকে দেখতে পাই, কজন বোনকে উত্যক্ত করছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই। দেখি, পাশের পাড়ার ক'জন ছেলে ওখানে। আমি প্রতিবাদ করায় আমার স্কুটারেরই লুকিং গ্লাস খুলে ওরা আমাকে মারে। মাথা ফেটে যায়।'' কান্নাজড়ানো গলায় তরুণী জানাচ্ছেন, ''আমি এদের কাউকে চিনি না, কথাও হয়নি। কিন্তু আজ আমাকে রাস্তায় একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওরা এগিয়ে এসে আমার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে, বাজে কথা বলতে থাকে। আমি বলি - 'দাদাকে ডাকব।' বলে, 'যাকে খুশি ডাক।' আমি খুব ভয় পেয়ে যাই। জানি না কেন হঠাৎ আমার সঙ্গে এমনটা করল।'' এনিয়ে ডোমজুড় থানায় মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন সুনীত। কিন্তু লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
