গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: নাবালক ও নাবালিকার বিয়ে রুখল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বসিরহাটের স্বরূপনগরে এক তরুণের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল এলাকারই এক নাবালিকার। যাবতীয় আয়োজন থেকে নিমন্ত্রণ, সবটাই হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ, বিএসএফ ও কলকাতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ হানায় শেষমুহূর্তে বন্ধ হল বিয়ে।
নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও নাবালিকা বিয়ের আয়োজন হয়। বহুক্ষেত্রেই খবর পেয়ে পুলিশ গিয়েই তা আটকায়। পুলিশ-প্রশাসনের চোখের আড়ালে বহু নাবালিকা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধও হয়ে যায়। সম্প্রতি স্বরূপনগর থানা এলাকার গ্রামের ১৮ বছরের এক তরুণের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ওই থানা এলাকার অন্য গ্রামের এক নাবালিকার। সূত্র মারফত সেই বিয়ের খবর পান ১০২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এএইচটিউ (আন্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট) ঘোজাডাঙ্গার হেড কনস্টেবল দিলীপ সোয়াইন, হেড কনস্টেবল রাম পাল, কনস্টেবল আদিত্য চৌধুরী ও কনস্টেবল সিপু সতপথিরা। সঙ্গে সঙ্গে তারা উত্তর ভাদুড়িয়া গ্রামে পৌঁছন। বিএসএফের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় স্বরূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক অরিন্দম হালদারকে। তাঁর নির্দেশে এক দল পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পুলিশ, বিএসএফ ও কলকাতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ হানায় বন্ধ হয় নাবালক ও নাবালিকার এই বিয়ে। সেখানেই পাত্র ও পাত্রীর বাবাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পুলিশ কর্তারা। ছেলেটির ২১ বছর এবং মেয়েটির ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া হবে না, লিখিতভাবে এই আশ্বাস দেওয়ার পর এলাকা ছাড়ে পুলিশ ও বিএসএফ কর্তারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল উত্তর ভাদুরিয়া গ্রামে। বিএসএফ ও পুলিশের সক্রিয়তার প্রশংসা করেছেন গ্রামবাসীরা।
