সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ২০১৪ সালের পরীক্ষার ১১টি প্রশ্ন খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এ রাজ্যে যখন টেট নিয়ে জটিলতা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তখন বর্ধমানে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা অভিযোগ উঠল। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে অভিযুক্তকে গণধোলাই দিলেন প্রতারিতরা। ওই অভিযুক্ত আটক করেছে পুলিশ।

[ জালিয়াতি ঘটনায় গ্রেপ্তার হতে পারেন ব্যাংক ম্যানেজার, কড়া বার্তা পুলিশের]
শহরের ব্যাপারটা আলাদা। কিন্তু, জেলার বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে সরকারি চাকরি যথেষ্ট কদর। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের বেতনও তো কম নয়। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নামে করে কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল এক যুবক। টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা। টাকা দেওয়া পর চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়। কর্মপ্রার্থীদে্র দাবি, সেই নিয়োগপত্র নিয়ে তাঁরা যখন নির্দিষ্ট স্কুলে চাকরিতে যোগ দিতে যান, তখন জানা যায়, নিয়োগপত্রটি জাল। এরপরই অভিযুক্তকে ধরতে ফাঁদ পাতেন প্রতারিতরা। আরও কয়েকজনকে চাকরির করে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত যুবককে ডেকে পাঠানো হয় বর্ধমান শহরে। মঙ্গলবার সকালে ওই যুবক যখন জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে পৌঁছন, তখন তার উপর চড়়াও হন কর্মপ্রার্থীরা। চলে বেধড়ক মারধর। শেষপর্যন্ত, টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় প্রতারক। এদিকে এই ঘটনায় বর্ধমান শহরে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম দীপঙ্কর বেজ। তার বাড়ি বাঁকুড়ায়। কথাবার্তার অসংলগ্নতা তো ছিলই। জেরায় চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছে সে। বর্ধমান জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতারিতরা যদি নিয়মমাফিক অভিযোগ দায়ের করেন, তাহলে ওই যুবকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছবি: মুকলেসুর রহমান
[বিশ্বভারতীর বিশেষ উদ্যোগ, দৃষ্টিহীনদের জন্য গীতাঞ্জলির ব্রেইল সংস্করণ]
The post শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অভিযুক্তকে গণধোলাই appeared first on Sangbad Pratidin.