অভিষেক চৌধুরী, কালনা: ভারতীয় রেলের ‘অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে’র আওতায় কালনা স্টেশনও (Ambika Kalna)। রবিবার দূর নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাঝপথে আচমকাই ছন্দপতন। কালনা স্টেশন চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান বয়কট করলেন কালনার তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ।
অনুষ্ঠান বয়কট প্রসঙ্গে দেবপ্রসাদবাবু জানান, “আমরা উন্নয়নের পক্ষে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। কিন্তু গরিবের পেটে লাথি মেরে উন্নয়ন আমরা মেনে নেব না। আমরা চাই যারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে রয়েছেন, তাদের উপযুক্ত পুনর্বাসন দিয়ে স্টেশনের আধুনিকীকরণ হোক।” উল্লেখ্য কালনা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় পঞ্চাশের কাছাকাছি চা, পান, হোটেল, মিষ্টি, রেস্টুরেন্ট, মনোহারি দোকান রয়েছে। এছাড়াও প্রায় তিন শতাধিক পরিবার এখানে দীর্ঘদিন ধরে বাস করেন। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের জন্য তাদের সকলকেই উচ্ছেদের নোটিস ধরিয়েছে রেল।
[আরও পড়ুন: KLC-ভাঙড়ের তিনটি থানা ভেঙে হচ্ছে ন’টি, প্রস্তাবিত নাম ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন ডিভিশন]
নোটিস পাওয়া ছোট ব্যবসায়ী মনোজিৎ দাস, শংকর পালরা তাই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তারা বলেন, “এখানে দীর্ঘদিন ধরে আমরা ব্যবসা করছি। এই আয়ের টাকাতেই আমাদের সংসার চলে। উঠিয়ে দিলে আমরা খাব কী? আমরা তো আর অন্য কাজ করতে পারব না। তাই রেলের কাছে আবেদন, অল্প হলেও আমাদের জন্য কিছুটা করে জায়গা দিয়ে স্টেশনের উন্নতি হোক।” এদিন কালনার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার এস মুখোপাধ্যায়। পুনর্বাসনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রেলের পুনর্বাসনের যা নিয়মনীতি আছে, সেটা মেনেই হবে। এখনই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।” রেল সূত্রের খবর, অমৃত ভারত প্রকল্পে রেলযাত্রীরা আধুনিক পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। অমৃত ভারত প্রকল্পের উদ্দেশ্যই হল, যাত্রী স্বাচ্ছ্যন্দের প্রতি বাড়তি নজর। রেল যাত্রীদের সুবিধায় আধুনিক বিশ্রামঘর, পার্কিং ব্যবস্থা, ভিআইপি লাউঞ্জ, চওড়া ফুটব্রিজ, চলমান সিঁড়ি, প্লাটফর্মের আধুনিকীকরণ-সহ বাড়তি বহু সুযোগ থাকবে বলে জানালেন রেলকর্তারা।
