সুকুমার রায়, ঢাকা: ময়মনসিংহের ভালুকায় নিহত দীপু দাসের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করল স্থানীয় প্রশাসন। একইসঙ্গে দীপুর স্ত্রী মেগনা রানিকে চাকরির আশ্বাসও দিয়েছেন জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান।
সোমবার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামে নিহতের বাড়ি পরিদর্শনে যান সাইফুর। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা অর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। একইসঙ্গে শীতের বস্ত্র, শুকনো খাবার এবং একটি সেলাই মেশিনও প্রদান করা হয়। এরপরই সাইফুর দীপুর স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “নিহতের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।” দীপুর বাবা রবি চন্দ্র দাস বলেন, “দিপুই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ থাকলে আইনের মাধ্যমে বিচার হওয়া উচিত ছিল। আমরা গরীব বলেই ছেলেকে রক্ষা করতে পারিনি। ছেলের হত্যার বিচার চাই।”
দীপু গত দু’বছর ধরে ভালুকার একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কারখানায় হঠাৎ একদল বিক্ষোভকারী চড়াও হন। চলে ভাঙচুর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, টেনে হিঁচড়ে কারখানার বাইরে বের করে আনা হয় দীপুকে। তারপর গণপিটুনি দেওয়া হয় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপুর। এরপর তাঁর দেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়ে যায় বিক্ষুব্ধ জনতা। গাছে বেঁধে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সঙ্গে চলে স্লোগান। সূত্রের দাবি, ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরেই খুন করা হয়েছে দীপুকে। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করেছে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রবিবার তারা জানিয়েছে, দ্বীপু বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তিনি উসকানিমূলক কোনও মন্তব্যও করেননি।
