সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওসমান হাদির খুনিদের ধরতে না পারলে অন্তর্বতী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। রবিবার অন্তর্বতী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে এরকমই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কট্টরপন্থী ইনকিলাব মঞ্চ। সোমবার সেই ‘ডেডলাইন’ পার হতেই ফের ফুঁসে উঠল তারা। ইনকিলাব মঞ্চের নেতা আবদুল্লা আল জাবের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এবার ইউনুস প্রশাসনকে আমরা সমর্থন করব নাকি উৎখাতের ডাক দেব, তা আমরা ভেবে দেখছি।
সোমবার দুপুরে হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে নতুন করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন আবদুল্লা। তিনি বলেন, “ডেডলাইন পেরিয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কাছ থেকে কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ ছাড়াই সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। আগামী দিনে ইউনুস প্রশাসনকে আমরা সমর্থন করব নাকি উৎখাতের ডাক দেব, সেটা আমরা ভেবে দেখছি। তিনি আরও বলেন, “অন্তবর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং আইন উপদেষ্টা দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করছেন। নির্বাচনের আগে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে ফের রক্ত ঝরবে। তখন আর থামানো যাবে না। নাগরিকদের করের টাকায় পরিচালিত দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি খুনিদের শনাক্ত করতে না পারে, তাহলে তাদের থাকার প্রয়োজন নেই।” আবদুল্লার এই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ফের নতুন করে গণ আন্দোলন শুরু হবে ঢাকার রাজপথে? শেখ হাসিনার মতোই গদিচ্যুত হবে ইউনুস? উত্তর দেবে সময়।
প্রসঙ্গত, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের কবরস্থান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি-সংলগ্ন এলাকায় সমাধিস্থ করা হয়েছে হাদিকে। তাঁর ‘জানাজা’য় লাখো মানুষের ভিড় ছিল। হাদির শেষকৃত্যের পর শাহবাগ চত্বরে জমায়েত হন বহু মানুষ। সেখান থেকেই ইউনুস সরকারকে বার্তা দেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা আবদুল্লা আল জাবের। বলেন, “হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, তা জনগণকে জানাতে হবে। পাশাপাশি, তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তা-ও জানাতে হবে। যদি সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরীকে পদত্যাগ করতে হবে।”
