সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের পালটা বাংলাদেশ। এবার নয়াদিল্লির ভিসাকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালর জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল ঢাকা। সোমবার বাংলাদেশ হাই কমিশনের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার এবিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি। ভিসাকেন্দ্র বন্ধের পাশাপাশি সমস্ত কনসুলার পরিষেবাও আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।
সোমবার বাংলাদেশ হাই কমিশন জানিয়েছে, অনিবার্য কারণবশত, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নয়াদিল্লির ভিসাকেন্দ্র এবং সমস্ত কনসুলার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জেরে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ভারত রবিবার চট্টোগ্রাম, খুলনা এবং রাজশাহীতে তাদের ভিসাকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে তাদের ভিসাকেন্দ্র বন্ধের সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই। শুধুমাত্র সংঘাতের বার্তা দিতেই চাপ সৃষ্টি করছে ঢাকা।
ময়মনসিংহে দীপু দাস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে বিভোক্ষ দেখান ২০-২৫ জনের একটি দল। এরইমাঝে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের তরফে গুজব ছড়ানো হয়, দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশের দূতাবাস। গোটা ঘটনা নিয়ে রবিবার বিবৃতি জারি করে বিদেশমন্ত্রক। সেখানে দীপুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবির পাশাপাশি নয়াদিল্লি জানায়, বেশ কিছু বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে ভারত নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নাগরিকদের উপর আক্রমণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। রবিবার দুপুরে দিল্লির বিবৃতির কয়েক ঘণ্টার পর পালটা বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা। মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, দীপু দাসকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা একটি ‘বিচ্ছিন্ন হামলা’। তারপরই সোমবার নয়াদিল্লির ভিসাকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালর জন্য বন্ধের করল ঢাকা।
প্রসঙ্গত, ওসমান হাদির মৃত্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ। পরিস্থিতি বিচার করে রবিবার চট্টগ্রামের ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ করেছে নয়াদিল্লি। তারপর খুলনা এবং রাজশাহী আরও দুই শহরের ভিসাকেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এরপরই পালটা পদক্ষেপ করল বাংলাদেশ।
