শুভঙ্কর বসু: ভাটপাড়ায় আস্থা ভোট খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পুরপ্রধান সৌরভ সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা নোটিস দিয়েছিলেন তিন তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁদের দেওয়া অনাস্থা নোটিস অবৈধ বলে ঘোষণা করলেন বিচারপতি অরিন্দম সিনহা। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে তৃণমূল।
উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া এলাকাটি অর্জুন গড় বলেই পরিচিত। একদা তৃণমূলের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে প্রার্থীপদ নিয়ে দলের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় তিনি এতদিনকার দল ছেড়ে চলে যান বিজেপিতে। বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়াই করে জিতেছেন। এখন তিনি সাংসদ। কিন্তু ভাটপাড়া অঞ্চলে অর্জুন সিংয়ের এত প্রতিপত্তির কারণে সেখানকার বহু রাজনৈতিক নেতা, কর্মীও যোগ দেন বিজেপিতে। একই পরিস্থিতি ভাটপাড়া পুরসভারও। বিজেপিতে যোগদানের পর ৩৫ আসনের পুরসভায় সংখ্যাতত্ব অনুযায়ী দেখা যায়, ২৩ জনই বিজেপি কাউন্সিলর। ফলে তৃণমূলের হাতছাড়া হয় পুরসভাটি। এবং রাজ্যের এই একটি পুরসভার দখল নিতে সমর্থ হয় গেরুয়া শিবির। গোটা অপারেশনটাই হয় অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে। এমনকী চেয়ারম্যান পদে তিনি বসান নিজের ভাইপো, সৌরভ সিংকে। গত বছরের মাঝামাঝি এই ঘটনা। নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনই আস্থা ভোটের ডাক দেওয়া হয়। ১৯ জন কাউন্সিলরই তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেন। এভাবে আস্থা ভোট বেআইনি, এই অভিযোগ তুলে ভোটে অংশ নেয়নি বিজেপি। ১৯-০ ভোটে অর্জুন বাহিনীকে ধরাশায়ী করে ফেলে ঘাসফুল শিবির।
[আরও পড়ুন: Paytm-এ প্রতারণার শিকার সোনারপুরের দম্পতি, উধাও লক্ষাধিক টাকা]
তৃণমূলের সেই খুশি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হল না। বেলা গড়াতে না গড়াতেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। বিচারপতি অরিন্দম সিনহার বেঞ্চ ওই ভোটাভুটি খারিজ করে দেন। যদিও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে শুক্রবারই হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে তৃণমূল। হাই কোর্টের রায়ে যথেষ্ট খুশি বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের উপর ক্ষমতা চাপিয়ে দিচ্ছেন। আমরা জানতাম আইন মেনে ভোটাভুটি হয়নি। তাই হাই কোর্টে গিয়েছিলাম। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সকালবেলা আবির মেখে নাচগান করলেন। সত্যের জয় হল।”
The post বেলা গড়াতেই ঘুরল খেলা, হাই কোর্টের নির্দেশে বাতিল ভাটপাড়ার আস্থা ভোট appeared first on Sangbad Pratidin.
