shono
Advertisement

করোনার কোপে লাটে ব্যবসা, মুখে মাস্ক পরে খদ্দেরের অপেক্ষায় যৌনকর্মীরা

আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে পেটের তাগিদে রোজগারের চেষ্টা চালাচ্ছেন যৌনকর্মীরা। The post করোনার কোপে লাটে ব্যবসা, মুখে মাস্ক পরে খদ্দেরের অপেক্ষায় যৌনকর্মীরা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 07:42 PM Mar 17, 2020Updated: 09:31 PM Mar 17, 2020

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়েছে যৌনপল্লিতেও। N-95 মাস্ক পরে গ্রাহকদের আশায় তীর্থের কাকের মতো বসে রযেছেন বারবণিতারা। কিন্তু গ্রাহকদের দেখা নেই। কুলটির লছিপুর যৌনপল্লিতে এখন এই চিত্রই দেখা যাচ্ছে। যৌনপল্লিতে সিএনসি ক্লাবের পক্ষ থেকে এই মাস্কগুলি বিলি করা হয়েছে যৌনকর্মীদের। আপাতত ৫০০ যৌনকর্মী মাস্ক পেয়েছেন। বুধবার দিন আরও ৫০০ যৌনকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে মাস্ক ও সেনিটাইজার।

Advertisement

করোনা ভাইরাসের প্রকোপে এমনিতেই লাটে উঠেছে দেহব্যবসা। শারীরিক মিলনের ছোঁয়াতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই খদ্দেরদের দেখা নেই কুলটির নিষিদ্ধপল্লি লছিপুর ও চবকায়। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে করোনা সতর্কতায় স্কুল কলেজ সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাকেন্দ্রের ছুটি ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। এরই মাঝে করোনার গ্রাসে পড়েছেন যৌনকর্মীরা। যৌনকর্মীরা তাঁদের ব্যবসা চালু রাখলেও খদ্দেরের দেখা নেই। ফলে জেলার সব থেকে বড় যৌনপল্লিতে এখন মন্দার বাজার। সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে তবু পেটের তাগিতে নিষিদ্ধপল্লির যৌনকর্মীরা ব্যবসা বন্ধ করতে পারেননি।

[ আরও পড়ুন: মাস্কের আড়ালে ব্লু-টুথ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রী, বাতিল পরীক্ষা ]

জানা গিয়েছে, লছিপুর যৌনপল্লিতে রয়েছে এক হাজার সক্রিয় যৌনকর্মী। চবকাতে রয়েছে ২০০ জন। লছিপুর সিএনসি ক্লাবের সম্পাদক গৌতম বিশ্বাস বলেন, “প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাইরে থেকেও যৌনকর্মীরা এখানে আসেন। সেই সমস্ত যৌনকর্মীরা এই কয়েকদিন ধরে আসছেন না। যাঁরা স্থানীয় তাঁরা রয়েছেন এখানে। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে আমরা ওঁদের হাতে স্যানিটাইজার, সাবান, কাগজের রুমাল ও মাস্ক বিলি করেছি। খদ্দেরদের জন্যও মাস্ক রাখা আছে।” অন্যদিকে দুর্বার সমিতির পক্ষ থেকে মর্জিনা শেখ বলেন, “আমরা নজর রেখেছি এলাকায়। মাস্ক বিলি করেছি পাশাপাশি শারীরিক পরিস্থিতি কার কেমন সেই খোঁজখবরও রয়েছে আমাদের।”

লছিপুর নিষিদ্ধপল্লি দিশা জনকল্যাণ সমিতি এলাকায় যৌনকর্মী ছাড়াও তাঁদের পরিবার শিশু সবাই বসবাস করেন। শিশুদের স্কুলও রয়েছে এলাকায়। সমস্ত শিশুদেরকেও স্যানিটাইজার ও মাস্ক দেওয়া হয়েছে বলে যৌনকর্মীরা জানান। যৌনকর্মী পায়েল মণ্ডল, ঝর্ণা রায়, রচনা কুমারীরা বলেন, “খদ্দেরের দিকে আমাদেরও নজর রয়েছে। তাঁরা কাশছেন কিনা, অসুস্থ কিনা দেখে নিচ্ছি। সেরকম কিছু বুঝলে দুর্বার সমিতিকে খবর দিচ্ছি। সেই সব খদ্দেরের সঙ্গে আমরা যাচ্ছি না।” জানা গিয়েছে, কুলটির এই নিষিদ্ধপল্লিতে স্থানীয় ও পড়শি রাজ্য-সহ ভিনরাজ্য মিলিয়ে প্রতিদিন ৫ হাজার গ্রাহকের আনাগোনা রয়েছে। ভিনরাজ্যের ট্রাক চালকরাও রয়েছে এই তালিকায়। করোনার আতঙ্কে সেই সংখ্যা এখন ৫০০তে এসে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে শুনশান এলাকা। যৌনকর্মীদের থেকে জানা গিয়েছে, এখানে কারো জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই তাকে সকলে কার্যত একঘরে করে দিচ্ছে। এখন সকলেই মাস্ক পরে থাকছেন।

[ আরও পড়ুন: করোনার থেকে বাঁচতে মহামৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞ, সংক্রমণ এড়ানোর রক্ষাকবচ দিচ্ছেন জ্যোতিষীরা ]

The post করোনার কোপে লাটে ব্যবসা, মুখে মাস্ক পরে খদ্দেরের অপেক্ষায় যৌনকর্মীরা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup মহানগর toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার