সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গুগল ম্যাপ দেখে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টাই কাল! মাঝরাস্তায় দাউদাউ করে জ্বলল গাড়ি। নেভাতে তো পারলেনই না উলটে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোটা দৃশ্য দেখলেন মালিক। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুর।
ব্যাপারটা ঠিক কী? শনিবার রাতে কাঁকসা থানার গোপালপুর পঞ্চায়েতের ভট্টাচার্য পুকুরের সামনে গাড়ি জ্বলতে দেখে বিস্মিত হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গাড়ির মালিক দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় ও দোয়েল মুখোপাধ্যায় নামে এক তরুণী ধানবাদ থেকে ফিরছিলেন। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাঁকুড়া যাওয়ার সময় রানীগঞ্জের কাছে রাস্তায় যানজট থাকায় গাড়ি ঘুরিয়ে দুর্গাপুর হয়ে যাওয়ার প্ল্যান করেন তাঁরা। রাস্তা চিনতে অন করা ছিল গুগল ম্যাপ। তরুণী বলেন, "আমরা ম্যাপ দেখে যাচ্ছিলাম। তাতেই দেখা যায় রাস্তাটি জঙ্গলের দিকে।আমরা অনুমান করি হয়তো কাছাকাছি হবে। ম্যাপ অনুযায়ীই এগোতে থাকি আমরা। দেখা যায়, রাস্তাটি পুকুরে গিয়ে শেষ হচ্ছে। বাধ্য হয়ে গাড়ি ঘোরাতে গেলেই গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে যায়। আমরা ভাবি গাড়ি উঠে যাবে। জোর করে উঠাতে গিয়ে গাড়ির নিচ থেকে তেল লিক করে। এদিকে গাড়ির ইঞ্জিন গরম ছিল। হঠাৎ গাড়িতে ধোঁয়া বের হতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই গাড়িতে আগুন ধরে যায়।"
তড়িঘড়ি দু'জনেই গাড়ি থেকে নেমে যান। শীতের রাতে আশেপাশে ডাকাডাকি করেও কারও সাহায্য পাওয়া যায়নি। আগুন জ্বলতে দেখে পাশের একটি বেসরকারি কারখানার নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের কারখানার ভিতরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তরুণীর কথায়, "গুগল ম্যাপ দেখে অনেক সময় অনেকেই বিপদে পড়েন শুনেছিলাম। এবার সেই বিপদের মধ্যে আমরাও পড়লাম।" তাই গুগল ম্যাপ না দেখে রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য সকলকে পরামর্শ দেন তিনি। তারা এই বিষয়ে নির্দিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের না করলেও এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (কাঁকসা) রাজকুমার মালাকার।
