সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের (Tapan Kandu Murder Case) ঘটনায় সিপিএম নেতাকে জেরা করে ঝালদার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা জানল সিবিআই। ঘটনাস্থলের পাশে মোবাইল টহলদারি ভ্যানে থাকা পাঁচ পুলিশকর্মীকে জেরা করে তাদেরকে নিয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার বিকেলে সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিং আধিকারিকদের নিয়ে ঝালদা-বাঘমুন্ডি সড়কপথে গোকুলনগর গ্রামে যান। ঘটনার দিন পুলিশকর্মীরা কোথায় ডিউটি করছিলেন? বাইকে থাকা তিন আততায়ীকে কী তারা দেখেছিলেন? ওই সড়কপথ কোন দিকে গিয়েছে? আশেপাশে কি কি গ্রাম, তা জানতে চান ডিআইজি।
ইতিমধ্যেই সিবিআই (CBI) ঘটনাস্থলের অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ নিয়ে ওই এলাকার একটি ম্যাপ তৈরি করে তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার সন্ধেয় ডিআইজি আধিকারিকদের নিয়ে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর বাড়িতে গিয়ে পূর্ণিমা কান্দু-সহ পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিন ঘটনার চার প্রত্যক্ষদর্শী, এক সিপিএম নেতা, তিনজন ব্যাংক কর্মী-সহ মোট ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এই ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে থাকা ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেবে সিবিআই। সে কারণেই পুরুলিয়া জেলা পুলিশ তাদের হেফাজতে থাকা ধৃত নরেন কান্দু, আসিক খান ও কলেবর সিংকে এদিনই পুরুলিয়া আদালতে তোলে। তাদের ১৪ দিনের বিচারাধীন হেফাজত হয়েছে। আরেক ধৃত দীপক কান্দুও বিচারাধীন হেফাজতে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ড: জটিলতা কাটিয়ে তৃণমূল নেতার খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দিল হাই কোর্ট]
গত ১৩ ই মার্চ খুনের ঘটনার দিন পুলিশের মোবাইল টহলদারি ভ্যানে যে লেডি সাব ইন্সপেক্টর, স্পেশাল হোমগার্ড, এনভিএফ কর্মী ছিলেন তাদেরকে কর্তব্যের গাফিলতিতে আগেই ক্লোজ করেছিল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। এদিন তাদেরকেই ঝালদা বনাঞ্চলের কার্যালয়ের অতিথি আবাসে সিবিআইয়ের বেস ক্যাম্পে নিয়ে এসে জেরা করে।
সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন ঝালদা (Jhalda) থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে জেরা করার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সিপিএমের ঝালদা এরিয়া কমিটির সম্পাদক উজ্জল চট্টরাজকে। তপন কান্দুর খুনের চার প্রত্যক্ষদর্শী যাদব রজক, সুভাষ কর্মকার, প্রদীপ চৌরাশিয়া, সুভাষ গড়াইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। জেরা করা হয় নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো মিঠুন কান্দুকেও। ঝালদা পুর শহরের ৩৬টি সিসিটিভি ফুটেজ এবার সংগ্রহ করবেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।