সুদীপ রায়চৌধুরী: আসানসোল (Asansol) লোকসভা আসনের সব কটি বুথকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসাবে চিহ্নিত করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কমিশনের সিদ্ধান্ত, কোনওরকম গণ্ডগোল ঠেকাতে এই কেন্দ্রের বুথগুলিকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে। এজন্য ১১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে সেখানে।
আগামী ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ (Ballygunge) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এই দুই কেন্দ্রের জন্য মোট ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে বালিগঞ্জ বিধানসভা ক্ষেত্রে থাকছে ১৭ কোম্পানি। বাকি ১১৬ কোম্পানি পাঠানো হচ্ছে আসানসোলে। কমিশন সূত্রে খবর, রবিবার রাত থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পা রাখতে শুরু করবে। সোমবার সকাল থেকে দুই কেন্দ্রে ‘ফোর্স এরিয়া ডমিনেশন’ এবং রুটমার্চ করবে তারা।
[আরও পড়ুন: পরা যাবে না ছেঁড়া জিনস, কলকাতার কলেজের নয়া পোশাক ফতোয়া নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক!]
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন ও উপনির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম, বিএসএফের আইজি অতুল ফুলগেলে, কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর আইজি-সহ শীর্ষ আধিকারিকরা। আসানসোল ও বালিগঞ্জ কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আলোচনা হয়। এদিনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত, দুই কেন্দ্রের জেলা নির্বাচন আধিকারিককে প্রতি সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে হবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে।
পাশাপাশি এই দুই এলাকার থানাগুলিতে জামিন অযোগ্য ধারায় যে সব অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আধা সেনা মোতায়েন নিয়ে ঠিক হয়েছে, যে সব ভোট কেন্দ্রে একটি বুথ রয়েছে, সেখানে আধা সেকশন বা চারজন সশস্ত্র জওয়ান নিয়োগ করা হবে। দুই থেকে চারটি বুথের ভোট কেন্দ্রে থাকবে এক সেকশন বা ৮ জন জওয়ান। পাঁচ থেকে আটটি বুথের ভোটকেন্দ্রে দুই সেকশন বা ১৬ জনের আধাসেনার বাহিনী। নয় এবং তার অধিক বুথে রাখা হবে তিন সেকশন বা ২৪ জন আধা সেনা। কুইক রেসপন্স টিম হিসাবে একটি সেকশন করে বাহিনী থাকছে।