সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ‘তেরঙ্গা যাত্রা’, স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ কর্মসূচি। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি গোটা দেশ জুড়ে চলছে কর্মসূচি পালন। কিন্তু অভিযোগ, বাংলায় এই কর্মসূচি পালনে বিজেপিকে (BJP) লাগাতার বাধা দিচ্ছে শাসকদল তৃণমূল (TMC)। শুক্রবার নন্দীগ্রামের কর্মসূচিতে বাধা পেয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছিলেন অমিত শাহর কাছে। আর শনিবার তিনি আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। আর শনিবার মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে (Midnapore Central Jail) তেরঙ্গা উত্তোলন করতে গিয়ে ফিরতে হল কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে উত্তোলন করতে দেয়নি বলে অভিযোগ। তাতে বিজেপির দাবি, এভাবে আসলে মেদিনীপুরের বিপ্লবীদের অপমান করা হল। সুভাষ সরকার নিজেও তেমনই অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে তৃণমূলের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।
শনিবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এই অনুষ্ঠানটি ছিল কেন্দ্রের অনুপ্রেরণায় রাজ্য সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যৌথ অনুষ্ঠান। শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে অনুষ্ঠানের জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি চাওয়া হয়। দুটি অনুমতিপত্রও মিলেছে বলে দাবি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারের (Subhas Sarkar)। কিন্তু তা সত্ত্বেও মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে কোনও নির্দেশিকা না আসায় জেল সুপার শনিবার জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের অনুমতি দেননি। আর এভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা দেওয়া আসলে স্বাধীন ভারতেরই লজ্জা বলে মনে করছেন সুভাষবাবু।
[আরও পড়ুন: তেলমশলা দেওয়া খাবারে ‘না’, ভাত-ডাল-আলু সেদ্ধতেই খুশি CBI হেফাজতে থাকা অনুব্রত]
তিনি পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ”আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে কেন্দ্রে নির্দেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মন্ত্রীরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট এই কর্মসূচি চলছে। আমি মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে এসেছিলাম সেই কর্মসূচি পালন করতে। আমার কাছে মুখ্যসচিব, রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের তরফে অনুমতিপত্রও আছে। কিন্তু জেলে কোনও নির্দেশিকা না আসায় অনুষ্ঠান করা গেল না। এটা তো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান।” কারামন্ত্রী অখিল গিরি পালটা দিয়ে বলেন, ”কেন্দ্রের উদ্দেশ্যই রাজ্যকে বদনাম করা। আমাদের তো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে, ১৫ আগস্ট এখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হবে পতাকা। তাই আজকে পতাকা উত্তোলনের কোনও প্রশ্ন নেই। আর কেন্দ্রের লোকেরা সবসময় আমাদের হেয় করে। এবারও মন্ত্রীর অভিযোগের উদ্দেশ্য সেটাই। কাজেই তা গুরুত্ব দিচ্ছি না।”
[আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ ঘণ্টায় জিব্রাল্টার প্রণালী পার বাংলার সাঁতারু তাহরিনার, খুশির হাওয়া উলুবেড়িয়ায়]
এদিকে, তেরঙ্গা যাত্রায় বাধাদানের অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারী নালিশ জানিয়েছিলেন অমিত শাহর কাছে। শনিবার তাঁর হুঁশিয়ারি, এবার আদালতে যাবেন। ১৬ আগস্ট তিনি আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বলে জল্পনা ঘনিষ্ঠ মহলে।