অভিষেক চৌধুরী, কালনা: প্রিয় গায়কের গান শুনতে এসে কপালে জুটল পুলিশের মার, খেতে হল তাড়া। শুধু তাই নয়, হুড়োহুড়ি ভিড়ে পড়ে গিয়ে আহত হল কয়েকজন। বুধবার রাতে খাদ্য ও পিঠেপুলি উৎসবে সঙ্গীতশিল্পী রূপম ইসলাম (Rupam Islam) ও তাঁর ব্যান্ড ফসিলস-এর সঙ্গীতানুষ্ঠানকে ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা, ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল কালনায়। এমনই এক ঘটনায় পদপিষ্টের মত বড়সড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো।যদিও তার হাত থেকে রক্ষা মিলেছে বলে স্বীকারও করে নেন কতৃপক্ষ।যদিও এই ঘটনাকে ঘিরে উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।প্রশ্নও উঠেছে অনেক।
কালনায় পিঠে-পুলি উৎসব চলছে। বুধবার সন্ধেয় সেখানে রূপম ইসলামের অনুষ্ঠান ছিল। আর সেই অনুষ্ঠান ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপমকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। মেলাপ্রাঙ্গণ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। সেই পাঁচিলের উপরেও লোকজন ভিড় করে বসেছিলেন। পাঁচিলের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন অনেকে। সেই ভিড় সামাল দিতে নাকাল হন মেলার উদ্যোক্তারা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ডাকেন তাঁরা। বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে কয়েকজন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলে সূত্রের খবর। পালটা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে আঘাত করার অভিযোগে ৩-৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘কেউ কারও বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বললে ছেঁটে ফেলা হবে’, অভিষেককে পাশে নিয়ে বার্তা মমতার]
পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গান শুনতে আসা জনতা। তাঁদের দাবি, ভিড় সামলাতে ব্য়র্থ হয়েছে পুলিশ। প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এভাবে লাঠিচার্জ করা ঠিক নয়। এদিকে মেলার উদ্যোক্তাদের দাবি, রাজ্য সরকারের মেলা বানচাল করতে বাম-বিজেপিরা ষড়যন্ত্র করেছে। ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসেছিল ওরা। উল্লেখ্য, মধ্যমগ্রাম ও দমদমেও রূপম ইসলামের অনুষ্ঠান ঘিরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। অনুরাগীদের লাঠিপেটা করেছিল পুলিশ। যা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শিল্পী নিজে। এবার ফের একবার তাঁর অনুষ্ঠানেই লাঠিচার্জ করল পুলিশ।