জ্যোতি চক্রবর্তী ও অর্ণব দাস: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সফরের আগমুহূর্তে মতুয়াদের অন্তর্কলহে থমথমে ঠাকুরনগর। মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরব শান্তনুপন্থী মতুয়ারা। প্রয়োজনের বিক্ষোভের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। অশান্তির জেরে বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ বন্ধ করে দেওয়া হল ঠাকুরবাড়ির মন্দির, ভাঙা হল তোরণ। এদিকে মমতাবালা ঠাকুর নিশানা করেছেন শান্তনু ঠাকুরকে। সব মিলিয়ে অভিষেকে আসার আগেই উত্তপ্ত ঠাকুরবাড়ি চত্বর।
লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬০ দিনের এই কর্মসূচিতে গোটা রাজ্যে ঘুরেছেন তিনি। সভা করেছেন। মিশে গিয়েছেন সাধারণ মানুষের মাঝে। শনিবার নদিয়া থেকে উত্তর ২৪ পরগনায় প্রবেশ করেছেন তিনি। আজ অর্থাৎ রবিবার ঠাকুরবাড়িতে পুজো দেওয়া-সহ একাধিক কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের। তবে অভিষেকের এই ঠাকুরবাড়ি যাওয়া মোটেও ভালভাবে নিচ্ছে না মতুয়াদের একাংশ, বা বলা ভাল শান্তনুপন্থী মতুয়ারা। এদিন মতুয়া মহাসংঘের মাঠে একটি সভা শুরু হয়েছে। যেখানে শান্তনুপন্থীরা রয়েছেন। এদিকে অভিষেকের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শান্তনু ঠাকুর। অভিষেক ফিরে যাওয়ার পর গোবর দিয়ে শুদ্ধিকরণ করবেন বলেও জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: প্রেমের পরেও বিয়েতে আপত্তি! দলবল জুটিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে বন্দুক হাতে হামলা ক্ষুব্ধ যুবকের]
শান্তনুপন্থী মতুয়াদের কথায়, তাঁরা দীর্ঘদিন আগেই সভা ঠিক করেছিলেন। সেই মতোই সভা হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে পুজো দিলে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। তবে ঠাকুরবাড়ি থেকে রাজনৈতিক মন্তব্য করলে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এদিকে মমতা বালা ঠাকুর নিশানা করেছেন শান্তনু ঠাকুরকে। তিনি বলেন, “যে কেউ আসতে পারে, মোদি এসেছেন, শাহ এসেছেন, কেউ এলে তাঁকে অসম্মান কেন? ” মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, “উনি তো ভুলবশত বলে ফেলেছেন। টুইটে ক্ষমাও চেয়েছেন। উনি অনেক দিয়েছেন। এটা নোংরা রাজনীতি চলছে।” মমতাবালা ঠাকুররে কথায়, অভিষেক স্রেফ ধর্মীয় কথা বলতে যাচ্ছেন, রাজনীতি নয়।
