স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: ‘জিনা ইহা মরনা ইহা, ইসকে সিবা জানা কাঁহা।‘ ‘মেরা নাম জোকার’ ছবির কালজয়ী গান। গানে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন রাজ কাপূর স্বয়ং। সেই গান কলিকেই জীবনের অন্যতম চালিকাশক্তি বলে মানেন জলপাইগুড়ির ‘রাজু জোকার’। শুধু নিজের জন্য বাঁচা নয়, বরং এ জীবনে সমাজের জন্যও কিছু করে যেতে চান তিনি। অসুস্থ দরিদ্র মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে কখনও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ তো কখনও আবার জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল, এমনকী ভিনরাজ্যেও ছুটে যান বছর চল্লিশের মানুষটি। সমাজসেবার জন্য অর্থ সংগ্রহে চার্লি চ্যাপলিন, নেতাজি, ভগৎ সিং সাজেন।
[সাগর ঘোষ হত্যা মামলায় দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড]
পোশাকি নাম সুরেন্দ্র মণ্ডল। থাকেন জলপাইগুড়ি শহরে। লোকের বাড়িতে বাড়িতে টিভি সারিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন সুরেন্দ্র। এখন অবশ্য টিভি সারাইয়ের কাজ দেখাশোনা করেন ছেলেই। আর আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠান করে বেড়ান সুরেন্দ্র। যা রোজগার হয়, সবটাই খরচ করেন সমাজসেবায়। পয়সা অভাবে কারও চিকিৎসা হচ্ছে না, মুশকিল আসান বছর চল্লিশের সুরেন্দ্র মণ্ডল। নিজের পকেটে টাকা খরচ করে সাধ্যমতো সাহায্য করেন। আর তাতেও যা না কুলোয়, তাহলে চিন্তা কী! বিয়েরবাড়ি, জন্মদিন বা আনন্দানুষ্ঠানে কখনও চার্লি চ্যাপলিন তো কখনও রাজ কাপূরের বেশে হাজির হন সুরেন্দ্র। নির্মল আনন্দ বিলি করে নিজের মনের খোরাক মিটিয়ে নেন। বছর চল্লিশের এই শিল্পী বলেন, ‘মানুষকে সাহায্য করার মধ্যে এক অদ্ভুত তৃপ্তি আছে। যে তৃপ্তিটা আমার বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরি।‘ সুরেন্দ্র মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। যে যেভাবে পারেন, সাহায্য করেন। অন্যের জন্য নিজের সবটুকু বিলিয়ে দিয়েই তৃপ্তির হাসি হাসেন জলপাইগুড়ি ‘রাজু জোকার’। অন্যকে ভাল রাখতে গেলে, নিজেকেও যে আনন্দে থাকতে হবে।
[যে কোনও ধর্ষণের শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড, নয়া আইনের দাবিতে অনশনে যুবক]
The post দরিদ্র রোগীদের পাশে দাঁড়াতে চার্লি চ্যাপলিন সাজেন জলপাইগুড়ির সুরেন্দ্র appeared first on Sangbad Pratidin.
