শ্রীলঙ্কা: ১১২/৭ (ইমেশা ২৭, রেণুকা ২১/৪, দীপ্তি ১৮/৩)
ভারত: ১১৫/২ (শেফালি ৭৯*, হরমনপ্রীত ২০*, কবিশা ১৮/২)
৮ উইকেটে জয়ী ভারত।
৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় ভারতের।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিকেটমঞ্চে ভারতের মেয়েদের জয়যাত্রা অব্যাহত। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও দাপট দেখাচ্ছেন হরমনপ্রীত কৌররা। টানা তিন ম্যাচে জয়। আর তিনটেই কার্যত একতরফা। তিরুঅনন্তপুরমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ পকেটে ভরে ফেলল ভারত। বছর শেষে দেশের ক্রিকেটভক্তদের জন্য আরও একটা সিরিজ জয় উপহার স্মৃতি মন্ধানাদের।
তিন ম্যাচের তিনটিই টসে জিতেছে ভারত। আর তিনটি ম্যাচই রান তাড়া করে জিতল 'ওমেন্স ইন ব্লু'। বরং তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে কাজটা ছিল সবচেয়ে সহজ। কারণ তিনটি ম্যাচের মধ্যে এটাতেই সবচেয়ে কম রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করে তারা তোলে মাত্র ১১২ রান। অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু ৩ রানে আউট হন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ রান হাসিনি পেরেরার (২৫)। রেণুকা সিংয়ের বোলিংয়ের সামনে একেবারেই স্বস্তিতে ছিলেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তিনি ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট তোলেন। অন্যদিকে দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত দীপ্তি শর্মার। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের সেরা বোলার ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট তোলেন।
মাত্র ১১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১৪ তুলে নেয় ভারত। যার নেপথ্য কারিগর শেফালি বর্মা। বিধ্বংসী ব্যাটিংকে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোর নায়িকা এদিনও শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে থাকেন। তবে একেবারেই ছন্দে নেই স্মৃতি মন্ধানা। ব্যক্তিগত জীবনের সংকট কাটিয়ে বাইশ গজে ফিরলেও রানের দেখা পাচ্ছেন না। এদিন আউট হলেন ৬ বলে মাত্র ১ রানে। তবে শেফালি থাকতে চিন্তার কোনও কারণই নেই। জেমাইমা রডরিগেজ নামলেন ঠিকই, তবে বেশ খানিকক্ষণ দর্শকের ভূমিকা পালন করলেন। কারণ উলটো দিকে শেফালি ঝড়ের গতিতে রান করছিলেন। হাফসেঞ্চুরি করলেন মাত্র ২৫ বলে। শেষ পর্যন্ত শেফালি অপরাজিত থাকেন ৭৯ রানে। আর ৪০ বল বাকি থাকতেই ভারত ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরে নেয়। ফলে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ এখন নিয়মরক্ষার।
