সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কৃষকদের পর এবার দেশের শ্রমিকদের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছে কংগ্রেস। শনিবার দিল্লিতে দলের নতুন সদর দপ্তর, ইন্দিরা ভবনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠক। পরদিন, ২৮ ডিসেম্বর দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। এই দুই উপলক্ষে দলের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব নেতা এই মুহূর্তে দিল্লিতে। সূত্রের খবর, সেখানেই ১০০ দিনের প্রকল্পের নামবদল অর্থাৎ 'মহাত্মা'র নাম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে কীভাবে দেশের শ্রমিকদের একত্রিত করে কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলনে নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়া যায়, সেই দিক নির্দেশ করা হতে পারে।
আগামী বছর কেরলে বিধানসভা নির্বাচন। দাক্ষিণাত্যের রাজ্যের গত কয়েকদশকের ‘প্রথা’ মেনে এবার সেখানে কংগ্রেসের মসনদে আসার জোরালো হাওয়া রয়েছে। কংগ্রেসের অন্দরমহলে ফিসফাস সেক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব, অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখা যেতে পারে বর্তমানে দলের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালকে। দলের 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি মেনে তখন তাঁকে ছেড়ে দিতে হতে পারে বর্তমান দায়িত্ব। বেণুগোপালের বদলে কাকে আনা হতে পারে দলের এই 'হটসিটে', তার প্রাথমিক আলোচনাও শনিবার হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ঠিক যেমনটা শোনা যাচ্ছে যে, এবার ধীরে ধীরে দলে আরও বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। তবে শনিবাসরীয় বৈঠকের মূল সুর সম্ভবত হতে চলেছে ১০০ দিনের প্রকল্পের নাম ও চরিত্রবদল নিয়ে কেন্দ্রের প্রতি দেশের শ্রমিক শ্রেণির ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলা। একইসঙ্গে, ভোটচুরি, বেকারত্ব, মুদ্রস্ফীতি-সহ দেশের অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যা নিয়েও বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে শনিবারের বৈঠকে।
কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছিয়েছেন কর্ণাটক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও। উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ সভাপতি ডি কে শিবকুমার দিল্লি না এলেও শুক্রবার সকালে বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে গিয়ে দেখা করে আসেন। কর্মসমিতির বৈঠকের আগে বা পরে কর্ণাটকের মন্ত্রিসভার রদবদল সংক্রান্ত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আবার আগামী বছর আসন্ন পাঁচ বিধানসভা নির্বাচনে স্থানীয় কোনও দলের সঙ্গে জোট হবে কিনা, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ‘ইন্ডিয়া’-কে আরও সঙ্ঘবদ্ধ করতে কী কী পরিকল্পনা নেওয়া উচিত - এই সব নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে খবর।
