রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: আবর্জনার স্তূপের মধ্যে থেকে উদ্ধার শিশুকন্যার দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরের ধর্মদাসবাড় এলাকায়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে কিনারা করতে আপাতত সূত্রহীন তদন্তকারীরা।
শুক্রবার কাঁথির দিঘা রাস্তা লাগোয়া ধর্মদাসবাড়ের আবর্জনা স্তূপে ড্রেজার দিয়ে চলছিল পরিষ্কারের কাজ। তখনই একটি বস্তার নিচ থেকে বেরিয়ে আসে সদ্যোজাত শিশুকন্যার দেহ। সাফাই কর্মীরা দেখেন সদ্যোজাতের হাতের আঙুল নেই। ঘটনাস্থলে ভিড় জমান উৎসুক জনতা। ক্ষতবিক্ষত শিশুর দেহ দেখে তাঁদের অনুমান, শূকর শিশুটির দেহ নিয়ে টানা-হ্যাঁচড়া করার পর খুবলে নিয়েছে। এমনকী দেখে বোঝারও উপায় নেই যে কতদিন আগে শিশু কন্যার বয়স ঠিক কত। কে বা কারা এই কাজ করেছে, তাও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। খবর পেয়ে কাঁথি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শিশুর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের, অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে ভ্রূণ নষ্টের অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল]
প্রতি সপ্তাহেই ২-৩ দিন অন্তর ড্রেজার দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ চালান সাফাই কর্মীরা। আবর্জনার স্তূপের সামনে কোনও সিসিটিভি ফুটেজ না থাকায় ওই জায়গায় শিশুর দেহ কোথা থেকে এল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। গোটা কাঁথি শহর থেকে এখানে আবর্জনা এনে ফেলা হয়। সেখানে কীভাবে সদ্যোজাতর দেহ এল, উত্তর খুঁজতে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কেউ কি মৃত শিশুর দেহ এনে ফেলল? নাকি সদ্যোজাতকে এখানে এনে ফেলার পরই তার মৃত্যু হয়েছে, এসব নিয়ে জল্পনা চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে কয়েকজন সাফাই কর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে তাদের কাছ থেকে তেমন কোনও সদুত্তর মেলেনি, যার ভিত্তিতে তদন্ত এগনো যায়।
[আরও পড়ুন: CMRI কাণ্ড: মৃতার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন নিগৃহীত চিকিৎসক]
The post আবর্জনা থেকে উদ্ধার সদ্যোজাতর ক্ষতবিক্ষত দেহ, তদন্তে নেমে সূত্রহীন পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.
