নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিস্ফোরণের পর থেকে এখনও থমথমে বীরভূমের দুবরাজপুরের পদুমা পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া এলাকা। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় সিআইডি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার তৃণমূল কর্মীর ভাইপো। আটক তৃণমূল কর্মীর ছেলে।
সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বীরভূমের দুবরাজপুরের পদুমা পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। জানা গিয়েছে, একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির চিলেকোঠায় রাখা ছিল বোমা। প্রচণ্ড শব্দে সেই বোমা ফেটে যায়। জনবসতির মাঝে বোমা বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়ায়। ফাটল দেখা দেয় প্রতিবেশীদের বাড়িতেও। শব্দে একটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা জানান, বাড়িটি শেখ সফিকের। তিনি এলাকায় তৃণমূলের কর্মী হিসাবে পরিচিত।
বিস্ফোরণের পর দুবরাজপুর থানা-সহ খয়রাশোল, ইলামবাজার থেকে পুলিশ আধিকারিকরা হাজির হন। বাড়িটিকে ঘিরে রাখা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ পৌঁছে ছাদের উপর ঘটনাস্থলে খড়ের আঁটি ভরে বিষয়টিকে লঘু করার চেষ্টা করে। কারণ, যেখানে সিমেন্টের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে, সেখানে বোমা বিস্ফোরণের পরেও অক্ষত অবস্থায় খড়ের আঁটি থাকা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘স্কুল তো মিষ্টির দোকান নয়, ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করা হবে’, ফি বৃদ্ধি মামলায় কড়া হাই কোর্ট]
ঘোড়াপাড়া এলাকার জনবসতির মাঝেই শেখ সফিকের পাকা বাড়িটি বেশ কিছুদিন ধরে নির্মাণ কাজ চলছিল। পেশায় কৃষক সফিকের গ্রীষ্মের ধান মারাইয়ের কাজ চলছিল সেখানে। পাকা বাড়ি হলেও সেখানে তাঁরা কেউ থাকতেন না বলে গ্রাম সূত্রে জানা যায়। গত দু’বছর ধরে বাড়িটি তৈরি হলেও ঘটনাস্থলের থেকে একশো মিটার দূরের বাড়িতে সফিক তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
গ্রামবাসী শেখ জসিমুদ্দিন জানান, তাঁরা বাড়ি তৈরি করলেও সেখানে কেউ থাকতেন না। তবে ওই বাড়িতে কারা বোমা রাখল সে নিয়ে আমাদের চিন্তা। অন্যদিকে গ্রাম সূত্রে জানা যায়, এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সফিক হচ্ছেন তরুণ গড়াইয়ের অনুগামী। তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা মুকুল মণ্ডলের লোকজন এই বোমা রেখে গেল কিনা সে নিয়ে দলীয় স্তরেই চিন্তা শুরু হয়েছে। তবে বিস্ফোরণের পরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।