ধীমান রায়, কাটোয়া: নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ও ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এক স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি! বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও প্রতারণার অভিযোগে ধৃত কেতুগ্রাম থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার। বর্ধমান মহিলা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম আজাহার হোসেন। বাড়ি কেতুগ্রামে। তাকে আজ, শনিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।”
অভিযোগ, দুর্গাপুরের এক স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে ভুয়ো পরিচয়ে ফেসবুকে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন আজাহার। পরে নিজেকে পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দেয় এবং তাঁর মাসিক বেতন ৭৮ হাজার টাকা বলে দাবি করেন। পুলিশ লেখা বাইক নিয়েও ওই স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন বলে অভিযোগ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন আজাহার! অভিযোগ, হুগলির চন্দননগরের একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ওই স্বাস্থ্যকর্মী বেঙ্গালুরুতে থাকেন। সত্যতা জানতে পেরে তিনি ১৪ অক্টোবর জেলা পুলিশ সুপারকে ইমেল মারফত অভিযোগ জানান। পরে বর্ধমান মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই আজাহারের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল পুলিশ। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দাপট দেখাতেন ওই অভিযুক্ত। এমনকী বড় অফিসারদের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে বলেও লোকজনদের ভয় দেখাতেন! পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ।
