shono
Advertisement
Gangarampur

শাড়ি কেনার টাকা কিছুক্ষণ পরে দেবেন বলেন দাদু, তাতেই অভিমানে 'আত্মঘাতী' দ্বাদশের ছাত্রী

পরিবারে শোকের ছায়া।
Published By: Suhrid DasPosted: 08:30 PM Nov 29, 2025Updated: 08:30 PM Nov 29, 2025

রাজা দাস, বালুরঘাট: অনলাইনে শাড়ি অর্ডার করেছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। শাড়ি কেনার জন্য ৫০০ টাকা দাদুর কাছে চেয়েছিল সে।  ওই টাকা কিছুক্ষণ পরে দেবেন, সেই কথা বলে বাইরে গিয়েছিলেন দাদু হাগরু রায়। মাত্র আধ ঘন্টার ব্যবধান। আর তাতেই সব শেষ। চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা হাতে না মেলায়  দাদুর উপর 'অভিমান' করে 'আত্মঘাতী' হল ওই ছাত্রী। মৃতার নাম বিচিত্রা রায়। আজ, শনিবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের মল্লিকপুরে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর বাবা বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। বাবার মৃত্যুর পর সে ও মা দাদুর বাড়িতেই এসে থাকছিল। বিদিশা কাটাবাড়ি হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল। অনলাইনে বিদিশা একটি শাড়ি পছন্দ করে অর্ডার দিয়েছিল। সেই শাড়ির জন্য দাদুর কাছে টাকা চেয়েছিল সে। কিন্তু সেসময় দাদু টাকা দিতে চাননি। কিছুক্ষণ পরে টাকা দেবেন, তেমনই বলে বাইরে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ। দাদুর কথায় 'অভিমান' হয় তার।

বিদিশা নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। বেশ কিছুক্ষণ তাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তার খোঁজ করতে ঘরে যান। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। ডাকাডাকি করেও ভিতর থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। দাদুও বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। এরপরই ওই ঘরের দরজা ভাঙা হয়। ভিতরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে ঝুলতে দেখা যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় গঙ্গারামপুর থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তদন্তের জন্য বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তদন্তকারীরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনা যে হতে পারে, ভাবতেই পারছেন না বিদিশার পরিবারের লোকজন। পরিবারে শোকের ছায়া। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক প্রতিবেশীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • অনলাইনে শাড়ি অর্ডার করেছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
  • টাকা পরে দেবেন, সেই কথা বলেছিলেন দাদু।
  • দাদুর উপর 'অভিমান' করে 'আত্মঘাতী' হল ওই ছাত্রী।
Advertisement