নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রামপুরহাট কাণ্ডে (Rampurhat Incident) নিহতদের পরিবারের পাশে রাজ্য সরকার। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য এবং চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অগ্নিদগ্ধ বাড়ি মেরামতের আশ্বাসও দিলেন তিনি।
গত সোমবার রাতে উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। আর সেই ঘটনার পর থেকেই বগটুই গ্রাম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরপর দশটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দুই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে মোট ৮ জনের। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই SIT গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জীবনের বিকল্প টাকা কিংবা চাকরি নয়। তবে সংসার চালাতে টাকার প্রয়োজন। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো মানবিক দায়িত্ব।”
[আরও পড়ুন: বিনোদন জগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়]
স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়াতে তাই অগ্নিদগ্ধ বাড়ি মেরামতির জন্য প্রথমে ১ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়। পরে যদিও তা বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। এছাড়া নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে অর্থসাহায্যের কথাও ঘোষণা করা হয়। এছাড়া নিহতদের পরিবার পিছু একটি করে চাকরির কথা ঘোষণা করা হয়। তবে এভাবে কাউকে স্থায়ী চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই তাঁদের আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে চাকরি দেওয়া হবে। গ্রুপ ডি অ্যাটেনডেন্ট হিসাবে কাজ করতে হবে তাঁদের। প্রথম এক বছর তাঁরা ১০ হাজার টাকা করে বেতন পাবেন। পরের বছর স্থায়ী চাকরি পাবেন। প্রত্যেকের পোস্টিং নিজের এলাকাতেই করার চেষ্টা করা হবে। বাসাপাড়ার নিহত জামাইয়ের পরিবারকেও আর্থিক সাহায্যের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।ইতিমধ্যেই স্বজনহারাদের হাতে চেকও তুলে দেওয়া হয়েছে।
এরপর রামপুরহাট হাসপাতালেও যান মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। প্রত্যেকের চিকিৎসার ভার নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই মুহূর্তে ওই হাসপাতালে ভরতি থাকা মহিলার শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই সংকটজনক যে বর্তমানে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা সম্ভব নয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কলকাতা থেকে রামপুরহাট হাসপাতালে আসছেন। ওই মহিলাকে ১ লক্ষ টাকা এবং বাকি দুই শিশুর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা অর্থসাহায্য করে রাজ্য সরকার।