shono
Advertisement

বঙ্গ বিজেপিতে বাড়ল দ্বন্দ্ব, মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেও শুভেন্দুর চাপে পিছু হঠলেন সুকান্ত

পূর্ব মেদিনীপুরের চার মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ আপাতত স্থগিত।
Posted: 08:59 AM May 17, 2022Updated: 12:06 PM May 17, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ধমকে ঢোক গিললেন সুকান্ত মজুমদার। ময়না ও হলদিয়ায় দলের চারটি মণ্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা করেও তা স্থগিত রাখতে বাধ্য হল রাজ্য বিজেপি (BJP)। এর ফলে বঙ্গ বিজেপিতে কে বড়? রাজ্য সভাপতি নাকি বিরোধী দলনেতা, তা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠে গেল। হলদিয়া ও ময়না বিধানসভা এলাকার চারটি মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা ও পরে তা স্থগিত করে দেওয়া নিয়ে বিতর্কও শুরু হল দলের মধ্যে। ওই চার মণ্ডল সভাপতির নাম পছন্দ হয়নি শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ দুই বিধায়ক হলদিয়ার তাপসী মণ্ডল ও ময়নার অশোক দিন্দার।

Advertisement

এরপরই শুভেন্দুর চাপে পিছু হঠে মণ্ডল সভাপতিদের নাম স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শুভেন্দুর চাপে রাজ্য বিজেপি সভাপতি কেন নতি স্বীকার করলেন, তা নিয়ে দলের আদি নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন। এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরে(East Midnapore)  বিজেপির পুরনো নেতা, কর্মীরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ শুভেন্দু ও তাঁর দুই অনুগামী বিধায়ক তাপসী মণ্ডল ও অশোক দিন্দার বিরুদ্ধে।

[আরও পড়ুন: চাপে নতিস্বীকার নয়, অফলাইনেই পরীক্ষা হবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে]

জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে নাম ঘোষণা করা হয় ময়না উত্তর ও দক্ষিণ মণ্ডলের দুই সভাপতি যথাক্রমে মাধব বেরা ও সুশান্ত মিদ্যের নাম। আর হলদিয়া নগর-৩ ও সুতাহাটা-১ মণ্ডলের সভাপতি যথাক্রমে দেবাশিস দাশগুপ্ত ও সুরজিৎ মালাকারের নাম ঘোষণা করা হয় রাজ্য সভাপতির অনুমতিক্রমে। এই ঘোষণার তিন ঘন্টা পরে সুকান্ত মজুমদার তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে নির্দেশ দেন, যে চারটি মণ্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা করেছেন, আপাতত রাজ্যের পরবর্তী সূচনা না পাওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে সেই সিদ্ধান্ত।

[আরও পড়ুন: এখন ভোট হলে ত্রিপুরায় ১২ আসন পাবে BJP! সমীক্ষার রিপোর্ট দেখেই রাতারাতি মুখ্যমন্ত্রী বদল?]

উল্লেখ্য, তমলুক সাংগঠনিক জেলায় এর আগে মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দুর অনুগামী দুই বিধায়ক অশোক দিন্দা ও তাপসী মণ্ডলের গণ্ডগোল সামনে এসেছিল। দলের জেলার সাংগঠনিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অশোক দিন্দা। পরে শুভেন্দু অধিকারীও গ্রুপ ত্যাগ করেন। এদিনের এই ঘটনায় তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পুরনো নেতা, কর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছে শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে। জেলার পুরনো এক নেতার কথায়, ”বঙ্গ বিজেপি পার্টিটা তৎকাল নেতাদের হাতে চলে গিয়েছে। এর পরিণতি ভয়ংকর হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার