দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সিপিএম, আইএসএফের পর কংগ্রেস। জয়নগরের দলুয়াখাঁকিতে পুলিশি বাধার মুখে কংগ্রেস প্রতিনিধি দল। গ্রামে ঢুকতে না পেরে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। গ্রামে শান্তি বজায় রাখতে বহিরাগত কাউকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেই দাবি পুলিশের।
গত সোমবার ভোরে নমাজ পড়তে যাওয়ার পথে খুন জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফউদ্দিন লস্কর। পালটা মারে মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তও। এই ঘটনার পর অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় দলুয়াখাঁকিতে। একের পর এক সিপিএম নেতা-কর্মীর বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আতঙ্কে ঘর ছাড়েন বহু। বুধবার সন্তান কোলে গ্রামে ফেরেন বহু মহিলা। এখনও পুরুষশূন্য বহু বাড়ি। শুক্রবার থমথমে দলুয়াখাঁকিতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে যান কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: জমি বিবাদের মীমাংসার পরও রাগে খুন! আমডাঙা হত্যাকাণ্ডে অভিযোগ পরিবারের]
ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে গুদামের হাট এলাকায় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের আটকানো হয়। বাধার মুখে পড়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। তাঁদের আটকানো কোনওভাবে উচিত নয় বলেই দাবি করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলে ছিলেন জয়ন্ত দাস, অসিত মিত্র, প্রতাপ মণ্ডল, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, সৌম আইচ রায়। আইনের বই হাতে নিয়ে তাঁদের আটকানোর কারণ জানতে চান কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। বারুইপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাস জানান, শুধু গ্রামের লোকেরাই গ্রামে থাকবেন। গ্রামে শান্তি বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।