মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: কাগজ কুড়োতে গিয়ে উলুবেড়িয়ার এক যুবক তুলে এনেছিল একটি পরিত্যক্ত পিপিই। সেটি পরেই সে ঘুরল গোটা এলাকায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আতঙ্ক ছড়াল উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৫ নং ওয়ার্ডের গরুহাটা খালপাড়ে। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনের তরফে ওই যুবক ও তাঁর পরিবারের ৪ জন-সহ মোট ৭ জন জনকে পাঠানো হয়েছে আইসোলেশনে। পুরসভার তরফে স্যানিটাউজ করা হচ্ছে এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিত্যক্ত কাগজ কুড়িয়েই দিন গুজরান করে ওই যুবক। সোমবার এলাকা থেকেই একটি পিপিই কুড়িয়ে পায় সে। বাড়ি নিয়ে চলে আসে সেটি। এরপর সেই পিপিই পরে এদিকে-ওদিকে ঘুরেও বেড়ায়। সেটি পরেই ব্যবহার করে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য পানীয় জলের কল, বসার জায়গা। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই তাঁরা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পুরো ঘটনা জানতে পেরেই ওই যুবককে পিপিই খুলে রাখতে বলেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর কথায় সে পিপিই-টি খুলে ফেললেও মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁরাই ওই যুবক ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের কয়েকজনের জ্বর ধরা পড়েছে। পরিবারের চার জনকে আইসোলেশেনে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার এলাকার দোকানপাট সব বন্ধ রাখা হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে গোটা এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও আতঙ্ক কাটছে না।
[আরও পড়ুন: করোনার আঁধারেও আলো, সুস্থ কন্যাসন্তানের মা হলেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার]
স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত সাঁতরা বলেন, ওই যুবক এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছ, পানীয় জলের কল ব্যবহার করেছে। ফলে আমরা তা ব্যবহার করতে পারছি না। সকলের এখন ভয়ে কাঁটা। ওঁরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে আমরা বাঁচি। উলুবেড়িয়া পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন খান বলেন, “পুরসভা এলাকা জীবাণুমুক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। পাঠানো হয়েছে মেডিক্যাল টিম। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। আতঙ্কিত হবেন না।” তবে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতাল বা পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তর কি তবে নিয়ম মেনে ওই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করছে না?
[আরও পড়ুন: ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে মাত্র ২টি ট্রেনের আরজি কেন?,’ রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ অধীর]
The post পরিত্যক্ত পিপিই পরে দিনভর এলাকায় ঘুরলেন যুবক! সংক্রমণের আতঙ্কে কাঁটা উলুবেড়িয়া appeared first on Sangbad Pratidin.
