মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: জ্বর ছিলই, আচমকাই স্ট্রোক হয় হাওড়ার উলুবেড়িয়ার এক প্রৌঢ়ের। একাধিক জায়গায় ঘুরে শুক্রবার তাঁকে ভরতি করা হয় কলকাতার বাঙ্গুর হাসপাতালে। ১২ ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। এতেই চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার পরিবার। হাসপাতালের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, কিছু পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই দেহ পাবে পরিবার। পাশাপাশি, আপাতত কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে পরিবারের সদস্যদেরও।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়ার আমতা খড়িয়প গ্রামের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের একটি ফোঁড়া হয়েছিল। জ্বরও ছিল। স্থানীয় ডাক্তার বলেছিলেন, ফোঁড়ার কারণেই জ্বর। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর স্ট্রোক হয়। পরিবারের সদস্যরা রাতেই তাঁকে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। জ্বর থাকায় সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় কলকাতায়। এরপর প্রথমে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা প্রৌঢ়ের কিছু শারীরিক পরীক্ষার জন্য শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে পাঠান। সেখানে পরীক্ষার পর তাঁকে বাঙ্গুরে ভরতির নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার সন্ধে ৭টা নাগাদ ওই রোগীকে বাঙ্গুরে ভরতি করা হয়। শনিবার ভোর ৬ টা নাগাদ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। তখনই জানিয়ে স্পষ্টভাবে দেওয়া হয় যে, এই মুহূর্তে পরিবার দেহ পাবে না।
[আরও পড়ুন: উত্তর ২৪ পরগনায় আরও ২ জন করোনা পজিটিভ, কোয়ারেন্টাইনে পরিবারের সদস্যরা]
এতেই আতঙ্ক বেড়েছে পরিবারের। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে শুরু করেন সকলে। আতঙ্ক গ্রাস করেছে এলাকার লোকেদেরও। এই ঘটনায় চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায় ওই প্রৌঢ়ের পরিবার। কতদিনে দেহ মিলবে? আদৌ দেহটি হাতে পাবেন কি না তা নিয়েও সন্দিহান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে সচেতনতার বার্তা, বাড়িতে বসে মাস্ক বানাচ্ছেন কলেজ পড়ুয়ারা]
The post জ্বর নিয়ে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতির পরই মৃত্যু প্রৌঢ়ের, নমুনা পরীক্ষার জন্য দেহ আটকাল কর্তৃপক্ষ appeared first on Sangbad Pratidin.
