সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রথম বিশ্বজয়ী অধিনায়ক তিনি। কিন্তু নিজের ঘরে নিজের একটাও ছবি নেই কপিল দেব নিখাঞ্জের। প্লেয়াররা কোনও কীর্তি-গরিমার শরিক হলে, সেই ছবি তাঁরা সাধারণত নিজেদের ঘরে রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু কপিল বরাবরই ব্যতিক্রমী চরিত্র, এক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। বৃহস্পতিবার শহরে এক অনুষ্ঠানে এসে তিরাশির বিশ্বজয়ী অধিনায়ক বলছিলেন, "আমি আসলে বর্তমানে বাঁচতে চাই। আমার ঘরে নিজের একটাও ছবি নেই। আমার ঘরে মিতালি বা অন্যান্য কারও ছবি রাখতেই পারি। অনেকের বাড়ি গিয়ে দেখি, ঘরভর্তি তার নিজের ছবি। তাদের বলি, আর কবে তোমরা পরিণত হবে?"
ঠিক যেমন কপিল মানতে চান না, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট কোচ বলে কোনও বস্তুর অস্তিত্ব রয়েছে বলে। সম্প্রতি ভারতীয় টিমের কোচ গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক চলছে। কপিলের কাছে সেই গম্ভীর মোটেও কোচ নন, ম্যানেজার। বলছিলেন, "কোচ কথাটা ক্রিকেটে এখন খুব চালু হয়েছে। যেমন গৌতম গম্ভীরকে বলা হচ্ছে, ভারতের কোচ। কিন্তু ও কী করে কোচ হয়? গম্ভীর আসলে টিমটা ম্যানেজ করছে। একজন লেগস্পিনারকে কী কোচিং করাবে গম্ভীর। স্কুল পর্যায় পর্যন্ত কোচিং চলে। কিন্তু তার পরে নয়।"
বৃহস্পতিবার শহরে কপিলের সঙ্গে এসেছিলেন মিতালি রাজও। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক এখনও বিভোর হরমনপ্রীত কৌরদের বিশ্বজয় নিয়ে। অনুষ্ঠানে তিনি বারবার বলছিলেন যে, বিশ্বজয়ের সেই মায়াবী রাত তাঁর পক্ষে ভোলা কিছুতে সম্ভব নয়। "এর আগে আমরা একাধিকবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিলাম। দেখতাম, ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়া ট্রফি নিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাকিয়ে থাকতাম কাপের দিকে। শেষ পর্যন্ত আমাদের টিমের নাম খোদাই করা হল কাপের গায়ে," বলতে থাকেন মিতালি। পাশ থেকে তখন কপিল বলে ওঠেন, "আমাদের সময় আবার ক্রিকেটে অর্থ ছিল না। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর শ্যাম্পেন আনিয়েছিলাম আমরা। পরে খেয়াল হল, শ্যাম্পেন তো এসেছে। কিন্তু এর অর্থ মেটাবে কে? কারণ তখন সফরের শেষ, অর্থও শেষ। ধরেই নিয়েছিলাম, বাসন মাজতে হবে। কিন্তু একজন সহাদয় ব্যক্তি এসে শ্যাম্পেনের বিল মিটিয়ে দিয়েছিলেন।"
