রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: তৃণমূল কর্মী মহাদেব বিষয়ীর স্মরণসভায় নন্দীগ্রামে বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক। আরএসএস ও বাংলাদেশের জামাতকে এক সারিতে বিঁধে আক্রমণ পার্থর। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশের জামাত ও ভারতবর্ষের আরএসএস একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাঁর আরও দাবি, বাংলাদেশে হিন্দু খুন হলে ভারতবর্ষে বিজেপি শক্তিশালী হবে। এপারে মুসলিম খুন হলে বাংলাদেশের জামাত শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসলে মানুষ কী খাবেন, কী পরবেন? সব কিছুই তারা ঠিক করে দেবে। সভামঞ্চ থেকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, "আপনারা কি সেই বাংলা চান?"
তৃণমূল কর্মীর স্মরণসভায় বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও কেন্দ্রের রাজনীতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর ভাষণে উঠে আসে ভারতের হিন্দু সংগঠন আরএসএস ও বাংলাদেশের মৌলবাদী, কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দল জামাতের প্রসঙ্গ। সেখানে দুই সংগঠনকে তীব্র আক্রমণ করেন বারাকপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, "শুভেন্দু অধিকারীর রাজনীতিতে বাংলাদেশে হিন্দু খুন হলে ভারতবর্ষে বিজেপি শক্তিশালী হবে। এপারে মুসলিম খুন হলে বাংলাদেশের জামাত শক্তিশালী হবে। বাংলাদেশের জামাত ও ভারতবর্ষের আরএসএস একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।"
আরএসএসের পাশাপাশি বিজেপিকেও নিশানা করেছেন পার্থ। বিজেপি বাংলায় সরকার গঠন করলে সাধারণ মানুষের জীবনে হস্তক্ষেপ করবে তারা। বলেন, "কী খাবেন, কী পরবেন সবই ওরা ঠিক করে দেবে। মাছ, মাংস, ডিম খাওয়াও বন্ধ হবে। এমনকী বিনা অনুমতিতে বাড়িতে মাছ-মাংস, ডিম রান্না করলে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। আপনারা কি সেই বাংলা চান?" পার্থের মুখে শোনা যায়, পুলওয়ামা ও পহেলগাঁও প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, "পুলওয়ামায় ৪২ জন জওয়ান শহিদ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন সন্ত্রাসবাদ তিনি মিটিয়ে দিয়েছেন। তারপরও পহেলগাঁও আক্রমণ হল কী করে? তাঁর মন্তব্য ঘিরে জেলা রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামের বৃন্দাবন চকে খুন হন তৃণমূল কর্মী মহাদেব বিষয়ী। একটি দোকানের ভেতর থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরিবারের দাবি, মহাদেবকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। শুক্রবার তাঁর স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন পার্থ ও জেলা তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব।
